আমি আজন্ম আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত থেকে গেছি
মাতৃজঠরের অন্ধকার থেকে নেমেই মেতেছি
অন্ধকারের হাটুরে মজমায়
প্রাচীন প্রথাসিদ্ধ পতঙ্গেরা চিনিয়েছে স্বপ্ন বিকি কিনির ইতিহাস
স্বপ্রতিভ স্বপ্ন শুষে নেয় ভ্রান্ত  বিশ্বাসের আদিম নিঃশ্বাস এক লহমায়
জেনেশুনেই স্বৈরিণীর অঙ্গুরী থেকে বিষপান করেছি ফোঁটায় ফোঁটায়
অন্ধকারের লোভাতুর আকর্ষণে অবিরাম লিখে চলেছি গ্রীক দেবদেবীদের সঙ্গমের খসড়া দলিল।
অনবদ্য আদিম উন্মাদনায় নিলামে তুলেছি ঈশ্বরের ভরাডুবির কলঙ্ক প্রাচীর ।
সমর্পিত করে গেছি তোমার চাটুবাক্যে নিত্য নতুন খেলায়
শরীরের প্রতিটি বাঁকে গুরুভার নিতম্বের দোলায়, সুডৌল স্তনের অন্তরালে
যুক্তিহীন আবেগের অচ্ছেদ্য বন্ধনে, মরাল গ্রীবার ফাঁদে,পল্লবিত আঁখিকোণে
নিরব দৃষ্টির সংকেতে কি এক অধীর অস্থিরতায়
ভবঘুরে বর্গাদারের মতো তোমার ঘাসময় উপত্যকায়
অভূমিষ্ঠ শৈশবের বীজ বপনের আদিম বাসনায় হাত রাখি বারিসিক্ত কূপে
অনাথ বসে থাকে ফাগুন আগুন  বন্ধ চোখে দেখি জন্মান্ধ উইয়ের রতিক্রিয়া
রতিক্লান্ত সাপের মতো পড়ে থাকে স্বপ্নশব নিতান্ত অবজ্ঞায়
তোমাকে ছোঁবার আশায়  উদোম বন্য নঙ্গর ফেলে যাই অবিরত স্বর্গের কাছাকাছি
পান করে গেছি অবিরাম অবিরল ধারায় ঝরে পড়া অমৃতসুধা
তবুও, আকণ্ঠ তৃষ্ণার্ত থেকে গেছি আজন্ম।
                                          স্বপ্নময় স্বপন©