সহস্রাব্দের নিষ্ঠুরতা জলজ জ্বলন্ত আত্মা থেকে বাস্পভুত হয়ে
ফের হৃদপিন্ডে ফিরে আসে-শেষরাতে বৃষ্টির অপেক্ষায়
রাত্রির কাছে প্রার্থনা ছিল পরিযায়ী স্বপ্ন; দিয়ে গেল অসমাপ্ত  ছবি,
অবসাদগ্রস্ত হৃদয়ের ক্লান্তি,একটাপোড়ানোহৃদয়ের অবয়বে নগ্নপ্রেম,
সময়-স্রোত-ইচ্ছা-স্বপ্ন,চাওয়া না চাওয়ার অপেক্ষাকরেনা চলেযায়,
আমি এক নষ্ট জীবন .... মহাকালের আত্মমৈথুনের মনস্তত্ত্ব
এক একটি অতিক্রান্ত সময়, সময়ে-অসময়ে অস্থির করে আমাকে,
আজকাল শব্দের অন্ত:পুরে  বিষাদের নৃত্যনাট্য
রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ সব অদৃশ্য, আত্ম অনুভুতির অর্থহীন মেঘ
বেহুদা প্রগলভতা নিয়ে হয়েছে অন্তর্ধান  দিনলিপি জুড়ে শুধু
নিঃশব্দ লিপ্তির আহবান  অন্ধকারকে শব্দ দিতে চেয়েছি,
বিচ্যুত শব্দের বলিদানে  একা  উদ্দেশ্যহীন বিষন্ন ছায়াতে
সভ্যতায় বিন্যস্ত শক্তির মাদকতায় বর্ণমালা বিলীন নৈশব্দের নীল
আগুনে,
মনসার নীল আঁতাতের বিষে বস্তুবিশ্বে বিকশিত আবেগের অবুঝ
স্বৈরাচারে
তার স্থান নেই প্রাণের উলালে, লাঞ্ছিত  অভিমানে পাতালঘর থেকে
অবিরাম জেদের বিচ্ছুরনে অর্ধোস্ফূট ভাষা স্ফূটনে উন্মুখ ভবিষ্য
কবিতায়…
তাই আজও খুঁজি নিজের শ্রাবণশান্ত সৌম্য কথা,যথাযথ অক্ষয়বচন,
যাতে ভেতরের প্রতিটি  জীবন্ত শব্দে মৃত্তিকার সাথে মেঘেরাও
আগামীর অভিমুখ যাত্রায়
শব্দসন্ত্রাস সৃষ্টির যন্ত্রণা থেকে ঈশ্বরের কাছে কৈফিয়ত চায় ...
নষ্ট বীজের ভ্রুন থেকে জেগে উঠে বৃষ্টির অধিকার পায়।
                                                        স্বপ্নময় স্বপন©