নিশ্চিত জানি আবাল্য-চেনা ভূগোলের প্রতুল স্মৃতিগুলো
ফেলে দিয়ে এখনো কান পাতলে রাত্রির হৃদস্পন্দন অনুভূত হয়
জনস্রোতে ফানুস ওড়ে; ঝড়ো বাতাসে ওড়ে টাকা শহরের মোড়ে
ছেঁড়াখোঁড়া এই ইতিহাস নিরন্ন মস্তকে বিমূঢ় অনন্ত উপেক্ষা নিয়ে
মুছে যায় সরব জনতাবন জীবনকে পরিহাস করে আমার অস্তিত্ব
মহাকালের অদ্ভুত দার্শনিকতায়পুঁজির কুঠিয়ালদের রাতভর গণচুম্বন
মন্ত্রমনোযোগে নাম মুছে যেতে থাকে নারীমুখ আর পাহাড়ের পাশে।
মধ্যরাতে এক কাপ চা হাতে অন্ধকার জন্ম দেয় আমার আত্মাকে
দীঘল কালো মেঘ দেখে আমার ভালোবাসার অন্তিম পলায়ন দৃশ্য!
দু’চোখ অন্ধের পঞ্জিকা নিয়ে মৃত্যু প্রহেলিকার নির্জনে নিঃশেষিত
মুহূর্তে মুহূর্তে শরীরহীন পুরুষাঙ্গ ফেলে নক্ষত্রটোলার উচ্ছিষ্ট রাত্রি
নারীর দেহের নিজের পকেটে অনেক উদ্বৃত্ত জীবনের বিরচিত গানে
এখানেও মৃত্যু নামে প্রেম আর শ্রমের আগুন নিষ্পন্ন সন্ধ্যার জলে
নিঃশেষিত মেঘে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিকোণে বিষপিঁপড়ে কবিতার মর্যাদা
পেতে পারে
মৃত্যুর এককেন্দ্রিকতা ভরা পূর্ণিমার সাদা জোছনা নদীতে মিলিয়ে
গেলে 'পরে
উচ্চাকাঙ্ক্ষী গাছ মেধাবীর মতো সিগারেট টেনে খায় আয়ুর আকাশে
বিষাদের নদী শুয়ে থাকে পাতা ঝরে পড়া শেষ হলে শালিকের
আলাপচারিতায়
পত্রালির ঈষৎ দুলুনি নিয়ে নিভৃত নিচে সর্প শিশুরা আমাকেই বন্ধু
মনে করে
তোমার বারান্দার লাবণ্যভরা ফুলের সৌন্দর্যের ভূতের পাহারা
এড়িয়ে মধুঘুম
পুড়ে যাওয়া মশলা বনে হেঁটে এসে ভুলগুলোকেইপরম আত্মীয় বলে
মনে হয়
এমন অনেক সত্য বিপন্ন ভঙ্গিতে চেয়ে থাকে আমার সাথে প্রেম আর
সমাধিস্থ আয়নায়
যতদূর সত্য চিরদিন স্মৃতিচারণের শিরদাঁড়ায় অজস্র লাল নীল…
ফেরার দরজা বন্ধ
সহস্র বিষপিঁপড়ে মুঠো মুঠো ছড়ায় ডালিম ফলের দানা অত্যন্ত
উল্লাসভরে ঘুমের ভেতরে
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকারে উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
স্বপ্নের জন্যে নষ্টদের অধিকারে
সৌন্দর্য-প্রতিভা-মেধা সব উপকথা হৃদয়স্পন্দন গাঁথা ঠোঁটের আঙুর
নগ্ননৃত্য তন্দ্রার ভেতরে…
আমার দেহে রক্তের দাগ অবশেষে যথাক্রমে দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা  উড়ে
যাওয়া বৃষ্টির করতলে
আমি সম্ভবত মারা যাবো তোমার গন্ধ মেখে চৈত্রের বাতাসে ঠোঁটের
কাছে ভেজা ঠোঁটের ঘৃণায়
অনেক হ্রদের জন্ম দেয়া নদী যার সুহৃদ আত্মীয় সেই সাগরে মিশে
...সময়ের ধারাবাহিকতায়
কেবলি দেখতে পাই অন্ধের দু’চোখ দূরবীন তাককরে জিয়নকাঠিতে
সিঁড়ি গুনে মোমবাতি জ্বেলে
কেউ একজন পড়িমরি ছুটে চলে,অনুষ্ঠান বিচলিত মুখ পাল্টে নিয়ে
যায় পুদিনা পাতার দেশে
অন্য সব সমৃদ্ধতর গভীর ভাবের অজানা স্পর্শ আমার আত্মাকে
ছেড়ে দেয় অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদে
যদি আর না-ই ফিরি, তোমার স্বমেহনের জল হয়ে ভেসে যাবো লাল
গোলাপের কান্নার উৎসবে
তবুও উপত্যকার নান্দনিকতার বোধ ক্ষয়ে যাওয়া ভোগ ও পণ্যায়ন
সর্বস্ব যুগে উড়ন্ত কফিন হয়ে
সজলবিচ্ছেদভরা পৃথিবীতে জন্ম দেব নতুন আঙ্গিকেশিল্প শস্যক্ষেত
সংশপ্তক শৃঙ্গবান নপুংসকের খুরধার সংসিদ্ধ বীর্যে ...
                                                          - স্বপ্নময় স্বপন©