তোমার জন্যই আমার নৈবেদ্য এই পংক্তিমালা
খুব সহজ করে লিখেছি যাতে তুমি জানতে পারো
আমার দ্রোহে দাহে বিষাদিত একাকীত্বের শূন্যতা
মাতৃজরায়ুন উগলে দিয়েছে অভিশপ্ত সময়ে তখন থেকে নিষ্প্রভ
একাকী
জীবনের এক একটি বসন্ত বর্ণহীন সময়ের পাণ্ডুলিপি
যেখানে ছন্দরা রুদ্ধ,কাব্য ধ্বনিত নয়, নিথর ধুলোয় ধূসর কালের
দরিদ্র বুকে
অলঙ্কৃত উৎসবের মুখরতায় আমার কাব্য পায়নি শিল্পের স্বীকৃতি
রাতের নিয়ন বাতির মতো অবহেলায় জড় আমার প্রতিটি আঁচড়
এ শুধু তোমার জন্যই যাতে তুমি বুঝতে পারো
প্রতীক্ষা স্বার্থের কাছে মাথা নুয়ে থাকে আজন্ম
আত্মপ্রত্যয় প্রলম্বিত হয় অসুর হুঙ্কারে চেনা ভাঙ্গনের ঝনঝন
হৃদয় সাক্ষী,নাভীর মূল থেকে টেনে তুলে আনা পোড়ামাটি প্রশ্ন
তোলে
গ্রীবাদেশ কম্পন খোঁজে অন্তরীক্ষে, জলে,অসত্য ভাষণে অধিকার
হরণে
আমার ক্যানভাসে রক্তাক্ত আকাশ,কলমের দীর্ঘশ্বাস ভাষার যুদ্ধে
জয়ের উষ্ণ স্বাদ
নিকৃষ্ট রাজনৈতিক হাতিয়ার আজ রাজনীতির স্ট্রাটেজিক হাতবদল
আদর্শের রক্ত
ঘুণে ধরা সমাজের বিপরীতে দাঁড়িয়ে ঝড়কে সামলে নেয়া প্রত্যয়
আজ প্রতিবাদহীন অসাড়
তারুণ্যের স্তব্ধ ভীড়ে প্রতিবাদী বারুদ খুঁজি দ্রোহের ঘ্রাণে নিরলস
শ্বাসবন্ধের তোড়জোড়ে
আজ বন্ধুবেশী শত্রুর সব  বিভত্স ফাঁদ! সময়ের দিগন্ত শোকাহত ধূসর কালো
অন্তর্জালের আঙ্গিনায় আঁধার ছুঁই ছুঁই সন্ত্রাসী মেঘের দল,বাদলের
কান্না
ভাবনার দৃষ্টিপাতে বিষন্ন ব-দ্বীপ,মেঘবিলাসী মন তাই পুনঃ যোদ্ধা হবার স্বপ্ন দেখে
প্রাগৈতিহাসিক বিভীষণের গুহায় শতাব্দীর পর শতাব্দী আমি আঁধারে
বিমলিন
আঁধারের গর্ভে লীন হতে হতে ভেঙে পড়ে আমার সকল দৃপ্ত
প্রতিরোধ
তুমি জানো কি, অসহায় আর্তনাদ আর কতটুকু নির্যাতন সহ্য করলে
দ্রোহের শক্তি পাবে?
বলতে পারো, কষ্টের নীল অনুভব আরকতটুকু গাঢ় হলে শব্দফল
ঝরবে আমার নৈঃশব্দে?
উত্তর কি আছে জানা, আর কতবার মানবতার রক্তের হোলিতে সৃষ্টির
সার রেখে যাব আমি?
পাপের তাপে পুড়ছে ইন্দ্রিয় বিলাস যুধিষ্ঠির দৃষ্টি অন্তরে সর্পশৃঙ্খল
কেমন যেন রক্তশূন্য হয়ে পড়ি পূর্ণাঙ্গ স্বপ্নবীজের অপূর্ণ যাপনে
সব স্বপ্নই আজ দুঃস্বপ্ন, পুষ্প পাপ, মৃত্যু অপমৃত্যু, ভয়ঙ্কর অভিশাপ
জন্মাবধি তীক্ষ্ণ ফলকে ছিন্ন হৃদয় আমার জন্মদাগ
এই পংক্তিগুলো  তোমায় দিলাম যেমন কার্দেনাল দিয়েছিলো সেই
অপরূপ বালিকাকে
যে বিলি করতো গোপন ইশতেহার পৃথিবীর সব প্রান্তে দুর্দিনে প্রহরে
প্রহরে নিরন্তর
যে প্রেম থেকে উৎসারিত এই পংক্তিগুলো তা তোমার কাছে
প্রত্যাখ্যাত হলে
অন্য নারীদের সে হয়ত আপন হবে যা তাদের হবার কথা ছিল না
এক মহাজাগতিক আঁধারে লীন হতে হতে উপেক্ষা করেছি ভোগের
নেশা অনিবার্য মসনদ
তোমার জন্য এটা লিখবো বলে অথবা তোমার জন্য নয়,হয়তো
অন্য কারো জন্য,
অন্য কোন নারী, হয়তো কারো জন্যই নয় কিংবা শুধুই নিজের জন্য
অথবা সেটাও নয়।
জলের ভিতর দুঃখকে বিনিয়োগ করে আমার রন্ধ্রে পুঞ্জিত করেছি
মৃত মাধুরীর কণা
উচ্ছল প্রকৃতির চোখে চোখ রেখে পাল্টে দিয়েছি প্রেম, কবিতার চোখ
আজ গুমোট গম্ভীর, মোমের আলোয় নিঃশেষিত আমি,মেঘের
আড়ালে আমি অন্তলীন,তাঁরারা রেখেছে নির্ঘুম
রাতের অষ্টম প্রহরে নির্বাক নীরবতা আনে অভিমানের যথার্থতা –
ম্লান হাসি অধরে নিভু নিভু
শব্দের ছন্দে তোমায় সিক্ত করা হয়নি,তোমার মোহে সম্মোহিত
হইনি গোধূলি লগ্নে
জটিল কাঁটাতারে আটকে গেছে মৃত্যুবাণের প্রশ্ন রক্তাক্ত ছন্দে
বহমান সম্পর্ক অনাত্মীয় চোরাবালিতে না পাওয়াকে আলিঙ্গন করে        
তোমায় কখনো বলিনি রাজপথের মাঝপথে মনপিয়নের পুষ্পিত
অভিমান
আমার পরম ব্যথা মুখ লুকিয়েছে  চাঁদের ভাঁজে সহিষ্ণুতা শিখবো
বলে
পড়ন্ত রোদ পড়ে পড়ে হারিয়ে যায় তবুও অভিমান জেগে থাকে
মনে মননে...
         -স্বপ্নময় স্বপন©