আমি কখনোই উৎসর্গ করিনি কবিতা তোমাকে
লেখা হয়নি কোন কিছুই তোমার জন্য,লিখতে জানিনা বলে
আমি কবি নই, সাহিত্যিকও নই, কেরানী মাত্র, তবু
হৃদয়ের প্রেম হৃদয় দিয়ে বলতে হয় কলমে নয়, আমার অভিমত
লোকমত ভিন্ন, ধার ধারিনে, তবে তাও তো জানাই নি, কি করে,
জানাব আমি,করোটিতে পরজীবী অন্তর্বাস ইঁদুর সন্ত্রাস আগুনের ওম
মেনেই নিচ্ছি তার কোনো সম্ভাবনা নেই,এখন সূর্য উঠলেই আমার
ঠুনকো প্রলাপ
জড়ভরত হয়ে রাঙা হয় আকাশের চুমু-ঝড়ে;শিল্প গড়ে প্রানেরস্তরে
মুখোশের ছাঁচে জড় সময়
রুমাল মেঘের মরে যাওয়া স্মৃতি ধুলো জলে আজও লিখি
শেষ বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের সরলরখা বরাবর হেঁটে দেখি
মৃত্যু জরায়ুর ভেতর খোঁজে পথ নিজের মতো করে পাঞ্জা ডুবিয়ে
রোজ রোজ মোমবাতি গলে যায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে দিনবদলের
সাইরেনে
ক্রমশঃই গভীরতর হয় এই পৃথিবীর গ্যাংগ্রিন,অস্থি-মজ্জায় নিঃশব্দের
অভিসার
শবমিছিল পুড়ে যায় ঘুমন্ত বাড়িতে, বোবা আকাশে মেঘবালিকাদের
অর্কেস্ট্রা
আজও বোকাএকটা কবির একঘেঁয়ে হা-পিত্যেস মেঘ পাঁচিলে কান
পাতলেই
ধ্রুবতারারা থতমত,আধমরা চাঁদের ওজন বাড়ে,হামাগুড়ি দিতে
দিতে পথিক নির্ঘুম
বহুরাত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে নরম আদরঢেউয়ে,গভীর ক্ষত অসংলগ্ন
অক্ষরমালায়
সমস্ত তন্ত্রের নিগূঢ় তত্বগুলো বিকৃত হয়ে ভেসে যেতে থাকেজীবনের
স্রোতে
কলম নিয়েও নিষ্পলক দৃষ্টি তৃষ্ণার্ত চাতকের গ্রহ উপগ্রহের পথ
পরিক্রমায়
অন্ধগলির জীবন- জিজ্ঞাসার বিষ-বাষ্প সভ্যতাকে মুখ ভেঙিয়ে
অবক্ষয়িত
নির্বিকার নক্ষত্র রাত্রির শিল্পান্তর রক্ত-পুঁজে উত্তরাধুনিক যুগে
নির্বাসিত
গলিত মোমের মতো প্রজাপতিদের ভিড় কংক্রিটের দেশে
পান্ডুরাজার ঢিবিতে
আমিও একাকী ফ্যাসিবাদী-মরুঝড়ে বিপর্যস্ত মরিচীকা-চোখেনির্লিপ্ত
কল্পনায় তোমার সহস্র মায়া প্রতিবিম্বিত হয় চোখের পাতায়;স্বপ্ন
দেখায়
হাজারোপথ একলা হেঁটে, চশমা ঢাকা ঝাপসা চোখে,শ্যাওলা জমে
চটা ওঠা ঘরের দেওয়াল সবুজ হৃদয় ছন্নছাড়া বেয়াড়া রোজনামচার
আস্তরণে
প্রতিমুহূর্তে পদপিষ্ট হবার ভয় তবু স্মৃতির সরণি বেয়ে বিষাক্ত ভৌম
নিঃসঙ্গতার প্রবাহে
ছুটি মঙ্গল কাব্য থেকে মহাকাব্যে শূন্যতা নিয়ে...
                                               -স্বপ্নময় স্বপন©