ক্ষমা করবেন সুধীবৃন্দ, আমার অযাচিত ও অনাহুত ভাবে একই সাথে দুইটি অপাঠ্য পৃথক লেখা(লেখা বলাই ভালো, কবিতা বললে কবিতার অপমান হবেএবং কবিদের অসম্মান করা হবে) অনিয়ন্ত্রিত মনের ইচ্ছায় এখানে প্রকাশ করছি। এই ঔদ্ধতের জন্য আমি সবিনয়ে ক্ষমাপ্রার্থী ও যার পর নাই লজ্জিত।
                              প্রত্যাশা
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো জলের গেলাস ঠোঁটের লাল আকাশ
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো এলোমেলো কালো চুল সবুজ সুবাস
জিহ্বার নীচে ভীষণ শপথ  নির্দ্বিধায় অবিচল থাকবে চির চেনা নামটি
সময়টা খুব অল্প, অবাক কৌতূহলে যাবে চলে,কেন অন্ধ হয়েআছি?
নারী,তোমার চোখের ভিতরে হেঁটে আকাশ ছুঁতে পারি গোপন
অভিমানে
সূর্য্য অস্তপাটে জ্যোৎস্না জটে অন্তরে মেঘ ভেঙেছি পরস্পর মধুর
সর্বনাশে
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো ব্যাপক বৃষ্টি ল্যাম্পপোস্ট রক্তশূন্য
গোধূলি
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো তোমার ভোর,নীল জ্যোৎস্না,শান্ত
জলধি
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো বৈষয়িক রাত,কমা দাড়ি,তোমার
নাড়ি
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো যুগল সৌধচূড়ায় কামনার শিলাস্তর
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো ঠোঁট গুজিয়ে নেব হলুদ মৃন্ময়ীর
ভেতরে
আর কিছু চাইবো না কিন্তু ধরো অতৃপ্ত মধ্যরাতে সুগভীর নাভীর
অজ্ঞাতে
তারপর নিশ্চিহ্ন হব শুন্যতা ছুঁয়ে পড়ে থাকবে ভালোবাসা নতমুখী
নিরুত্তর ।
     -স্বপ্নময় স্বপন©


                 প্রস্থান
আমি যে মাটিতে আজ দাঁড়িয়ে ক্রমশঃ নুয়ে পড়ছি
শূন্য রাজপথে, বিবর্ণ পত্রে নিজ ছায়াকে সঙ্গী করে
জাগতিক জৌলুসে আমি থাকি বিষাদে নিমগ্ন
সেখানে আর শেকড় ছড়াবো না বৃষ্টিস্নাত অঙ্কুরে
যে জলে দুর্নাম তার পয়ারেই ধারাস্নান করতে করতে  বিক্ষুব্ধ
মঙ্গলার্থে তাই এড়িয়ে চল, দূরে রাখো তোমাদের মানবিক
ব্যাপারসমুহ
অনিচ্ছুক যোনির নিস্তব্ধতার শোণিতে প্রোথিত দ্রোহ ব্যক্তি ও ব্যষ্টিক
কে যেন বলেছিল, ‘ একবার চলে গেলে- নারীরা আর ফেরে না
তবুও আমি স্মৃতিভারে ন্যুব্জ ময়লা টাকার মতো নিরবিচ্ছিন্ন
অক্ষর দাসের ক্লেদাক্ত আগুনে রক্তলাল প্রান্তবাসী হৃদপত্র
জনতার ভিড়ে অজান্তে হারিয়েছি ভাঙ্গা কাচঁ বিষাদের লালকেল্লায়
বিধৃত মর্মবেদনার সাক্ষী শুধু  গহন আঁধারে রাতের গোপন কান্না
“উমর দরাজ মাঙ্গঁকে লায়েথে চার দিন দো আরজুমে কাট গয়ে, দো
ইন্তেজার মেঁ।“
“চার দিনের আয়ু নিয়ে এসেছিলাম। দু’টি কাটল প্রত্যাশায় আর দু’টি
অপেক্ষায়।“
হে সম্রাট, বাহাদুর শাহ্ জাফর, তুমি আজ কোথায়? খুব মনে পড়ে
তোমায় আর তোমার কবিতার ঐ চরণ দু’খানি,মোর জন্মজন্মান্তের
তৃষ্ণায়
পূর্ণিমার  চোখে আকাশ ছোঁয়. বিষাদের কবিতা সূর্যের প্রহরায়
রাতভর ঘুমভাঙ্গা চোখে নগ্নতার ধারাপাত মুখস্থ করতে করতে
চুমুকের পারস্পরিক নিঃশব্দ নিঃশ্বাস বিনিময় পায়ের  শীত নিদ্রায়
আমি অন্ধকার শূন্য মলাট'  চারপাশ জুড়ে আঁধার, ঘাসের নেশা
অভিমানী দৃষ্টিতে স্মৃতিময় কষ্টের তাপদাহ , স্পর্শতন্ত্রে বেদনা উন্মুখ
রাত্রির পর রাত্রি আকাশ ভাঙা বৃষ্টি শূন্যতার সৃষ্টি বোধের বেদীতে
ভালোবাসা না হয় হোক চায়ের কাপে চিরায়ত চুম্বনের ক্যানভাস
রক্তকুসুম ডুবজলে ভিজতে ভিজতে বদলে ফেলেছি স্নানাভ্যাস
শূন্যতার ঘুম পুড়ে পুড়ে ছাই সাদা জোছনা মিলিয়ে গেলে 'পরে
আলেয়ার আয়না ঘরে পাপ ঠোঁট ঝরনার নাভীমুলে চুম্বন ভরে
বহুকাল শুকনো হৃদে শূন্যতার শ্যাওলা জমে জমে আমি চন্দ্রাহত
এসেছি জলপ্রপাতের তরঙ্গস্রোত বেগে দমকা বায়ুবেগে প্রস্থান নেব।
                                                                -স্বপ্নময় স্বপন©


সকলকে সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা ও বিনম্র ভালোবাসা। আন্তরিক ধন্যবাদ।