(২০)
আমি নিরন্তর খুঁজে ফিরি খুঁজে ফিরি
না কোন শিশু পাঠ্যে না বইয়ের মলাটে
না কোন শিলালিপির পাতায় পাতায়
না কবির ছন্দময় কবিতায়
আমি খুঁজে ফিরি অনন্তর হৃদস্পন্দনে
অতঃপর শুনে যাচ্ছি ক্রমাগত
ক্রমশঃ শিখছি শিখতেই থাকি অনবরত
যা কিছু আত্মস্থ করায় আমার আত্মা প্রতিনিয়ত।
                                           -স্বপ্নময় স্বপন©  


                  (২২)
কপালের দেড়-দুই আঙ্গুল নীচে চোখ
তার থেকে আরো কয়েক আঙ্গুল ব্যবধানে চিবুক, ঠোঁট
চিবুক থেকে এক টাকর কিংবা একটু বেশী নীচে আরো দুটো চোখ
স্থির নির্বাক দৃষ্টি ফেলে চিত্তচঞ্চল আহ্বান
গভীর থেকে গভীরতর অন্ধকারে নিষিদ্ধ প্রলোভন
পুষ্পিত বহ্নিতে কামনার অকালবোধন।
                                            -স্বপ্নময় স্বপন©


                   ( ২৮)
“উদোম বন্য ভগ্নফলা লাঙ্গল টেনে যাই
  উর্বশী জমিনে ফসলী কামনায়
  ভিজে বর্ষার বিপ্রতীপ মায়ায়
যন্ত্রণাবিভ্রম অস্তিত্বের সবুজাভ প্রান্তরে একাই”
                                                   -স্বপ্নময় স্বপন©
  
                     (৫২)
দূর্গম  অলিন্দে ছায়াপথ পেড়িয়ে সমুদ্র ছুঁয়ে যাই! আঙুলের দুর্জন
মধ্যরাতে আকাশ রক্তে ভেজা স্মৃতি ভস্মিত বিভ্রাট
মুখস্থ স্বপ্নের পোড়া অবয়ব হৃদয়ের নামতা  চঞ্চুপুটে দেয় কন্ডুয়ন
সময়ের কালস্রোতে লজ্জায় বিকল এই নীলিমার সম্রাট।
                                                 -স্বপ্নময় স্বপন©