আর কোনদিনও বিষাদকাব্য লিখবো না নিজেকে ছায়াসঙ্গী করে
প্রান্তিক অনুভূতি গুলো গচ্ছিত রেখেছি ধ্রুপদী বিষাদবৃষ্টির কাছে
জ্বালিয়ে রাখি প্রতীক্ষার পল তুচ্ছ জীবনের উদ্বাস্তু স্বপ্নের অভিজ্ঞতায়
নিঃসঙ্গ আত্মার নির্জনতায় নক্ষত্রের অক্ষরে অন্ধকারের বুনন জনপদে
আকাশের শূন্য অবয়বে বিদর্ভ নিশিতে জ্যোৎস্নায় ভিজতে থাকি
একাকী


নিজের মত করে পূর্ণতার কথা ভাবতেই রাত্রির পর রাত্রি চোখ পুড়ে
পুড়ে ছাই
বৃক্ষের শেকড় গভীরে তৎপর বহুকালধরে দীর্ঘঃশ্বাসময় পৃথিবীর বুকে
মায়ারটানে
অদ্ভুত নেশা দিনভর অর্থহীন অস্থিরতা,দুঃখ ছুঁয়েছে পথহারা রোদ বৃদ্ধ জানালায়
আমার ফেরা হয়না সংসার, সমাজ, আনন্দে,আত্মবিকাশের আলো
আঁধারির পথে
মধ্যবিত্ত নিরাশার হিসেব ডিঙিয়ে হেঁটে যাই আকাশভাঙা বৃষ্টিরভেতর
নির্বুদ্ধিতার অতলে!


সত্তার আবরণের নিচে বিমূর্ত অলকগুচ্ছ ঝুলে থাকে আবেগেরতটভূমি ছুঁয়ে
নূতন নৈঃশব্দে গভীর বিষাদ সময়ের দূরত্ব ভেঙে জলেস্থলেএকাকার
অনুভবে
ভয়ঙ্কর সুন্দরের অগ্নি তিলকে আমার একেকটি দুঃখ কালের বিশুদ্ধ
কবিতা
দীর্ঘশ্বাসগুলো অচৈতন্যে পুড়ে যায় কুণ্ঠিত অভিমানে জীবাশ্মেরক্লিষ্ট
ব্যথায়
জীবন নিঃসঙ্গ হলে মেঘের বৈরীতায় সয়ে যেতে হয় বিষাদের
কথপোকথন আঁধারের ধৃষ্টতায়।
                           -স্বপ্নময় স্বপন©