আমি আর আমার নিঃসঙ্গতা  নৈঃসঙ্গ্যের সড়কে উঠে হাঁটতে থাকি
বৃষ্টি কিংবা রোদের ভেতর
নৈঃসঙ্গ্যের ঢাল বেয়ে একাকিত্বের দাঁড় টেনে টেনে স্বপ্নেরমহাসড়কে
নতজানু জীবন নোঙর!
আকাশ পেরোনো নিঃসঙ্গতা নিয়ে নিভৃতের বারান্দায় একাকিত্বের
মানসবাড়ির গোড়াপত্তন
দ্বিধাহীন সমুদ্র তৃষ্ণা এক নিঃসঙ্গ পাতকের মহাজাগতিকবোধের
অনঙ্গ বেদনাহত জন্ম চিরন্তন


অনিঃশেষ ভিড়ের মধ্যে ছায়ার অতলে কাঁদতে থাকা পাহাড়ের
সন্ধ্যাতাড়িত মুখ ভেসে ওঠে
সর্বজাগতিক নৈঃসঙ্গ্যঅরণ্যছায়ায় জেগে থাকে ভোর আর পাখির
দ্বৈরথে,বিবর্ণ রাতের মিছিলে
ঘাস-পাতা-শিশিরের বিনিদ্রপ্রতিবিম্বে নিষাদসন্ধ্যার পুঞ্জিভূত
আহাজারি মেঘের রক্তিম আঁধারে
সবার কবি হবার দরকার নেই, কেননা অনন্ত নৈঃসঙ্গ্যের ভারে চাঁদ
ডোবে না কবিতার গ্রামে


কবি হওয়া যে সাতজনমের পাপ, নিষাদের হাতে ধৃত কবির তৃষ্ণা,
আলো- আঁধারীর খেলা
সত্তার সোপানগুলোতে প্রকম্পিত মৃত্যুর ভয়াল স্রোতে বিশ্বায়ন
সমাজে এঁকে দিচ্ছে ব্যবধান রেখা
পাতা ও পল্লবে চলমান অজস্র রৌদ্র-ছায়ার প্রতিসরণে অসমাপ্ত টান,
কান্নাক্লান্ত জ্যোৎস্নার হতাশ্বাস
আমি নিশ্চিত, মৃত্তিকার গহীন অন্ধকার নিঃসঙ্গ জমিনে কাব্যের
অদ্ভূত ক্রিয়াপদের আজ প্রবেশ নিষেধ।
                                    -স্বপ্নময় স্বপন©