(মুল লেখাকে সম্পাদন, সংকোচন ও পরিমার্জন পূর্বক উপস্থাপিত)


আগামী শতক ঘাসের হাঁটুতে মাথা রেখে পান চিবোচ্ছে
ফুঁপিয়ে কাঁদছে কয়েকটি ব্যাঙ পা ছড়িয়ে ব’সে সাহিত্য সভায়
বট বৃক্ষের ছায়ার উপর আকাশ খেলা করে নদীতে নাইতে নেমে!


শস্যময় ছড়া ঢুকে পড়ে ইঁদুরের গর্তে,পঁচা গন্ধে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য
মাছিরা আর টিকটিকিরা খাবলে খুবলে নেয় প্রকাশকের মাংস
হরিণের মাংসে এখন হরিণ বৈরী নয়;ঝুলতে থাকে মাকড়সার জালে


জীবনের বহমান স্রোতে বাঘেরা লোকালয়ে স্বাধীনতাকে জিভ দেখায়
গাধাদের পিঠে বাদুড়েরা আসে জনপদে শ্রমিক রক্তের পানপাত্র হাতে
কমরেডদের ভুলে লেনিন মাও সমাহিত হয় বকেয়া বেতনের দাবীতে


স্বপ্ন থেকে জেগে প্রতীক্ষা গতিময় শৈশবের,আগুন চোখে শপথ করি,
মোমের আলোয় খুঁজি মানুষের মুখ জলবিন্দু থেকে মৃত্তিকার সুগভীরে
আহা!একজন ভালোবাসে কবিতা অপর মানবী ঠোঁটে নেয় সর্প ছোবল


নিজ গৃহই আজ অচেনা মনে হয়,অনেক কথা বলেও কি কথা শেষ হয়
হাসি ভুলে, জলে ডুবে,মাতৃকা চিহ্ন কপালে এসেছি বিপাক পরিণামে  
হে সভ্যতা!  বাজাও রক্ত সারেঙ্গী! অনলে রেখেছি হাত সর্প লেজে পা!
                                                                     -স্বপ্নময় স্বপন©