হয়তো কবিতার জন্য!
নিঃসঙ্গ এক মানুষ আমি
অশ্রুহীনচোখ খোঁজে ভালোবাসার রং ,কাঁদছে পাণ্ডুলিপি
দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির আগ্রাসন
যন্ত্রণায়য় কাতরাচ্ছে প্রেমের কবিতারা
মেয়েটা কাঁদলে ছেলেটার ফুসফুস ভেজে
ভালোবেসে লাভটা কী, যেতে হবে নিতান্ত একাকী
নক্ষত্র ছাড়া সমুদ্র, স্মৃতি বহির্ভূত অসীম বিচ্ছেদ
সময়ের নিচে মৃত্তিকার রেশমী স্বপ্ন রেখে ঘুম
রাতে বন্ধ এবং অন্ধকার
কৌমের কেলি কল্লোলিত কর
কলাবতী এমন গাঢ়তা দ্যাখেনি
শপথ করে বলতে পারি,
সকলেই কবিতার পাঠক নয়, কেউ কেউ পাঠক
পূরবীর পৃষ্ঠায় অরণ্যের কল্পরূপ অসীম আকাশে
কতবার আমার ডুবে যাওয়া অপ্রকাশিত অভিমানের চুমুকে!
সভ্যতার বিশুদ্ধ রোদ পরিচয় হারিয়ে ফেলে আত্মরতির পদচ্ছাপে
সব মেঘে বৃষ্টি হয় না
অতীত ঋণের মতো সবকিছু  শূন্যতার জন্য
বুকের ভেতর বৃষ্টির জল চোখে নামে উদ্ভ্রান্ত সময়ে!
কুয়াশার অস্পষ্ট অঙ্গার হৃদয়ে প্রোথিত
অতল অন্ধকারে জীবনের অপচয় রাশি
আঙুলের ভেতর বয়ে যায় প্রশস্ত নদী
ধ্রুপদী পিপাসার সাথে কথা বলে ব্যর্থ প্রণয়
অসময়ে বাজে ভুলের বাদ্য চুম্বকীয় চিকন চুম্বনে
আমি মৃত্যুর পর মরতে চাই না
পাথরে ও শূন্যপটে বিপন্ন আত্মা,আমি পুড়ি!
                                           -স্বপ্নময় স্বপন©