রাজদণ্ড নিয়ন্ত্রণকারীগণ
সিংহাসনে বসে
যখন হারায় তাঁদের বুদ্ধিজ্ঞান
তখন গোলাপের জন্য দুঃখের সময় কোথায়?


হাতের মুঠোয় মৃত্যু,
চোখে স্বপ্ন নিয়ে
এসেছিল শিশু আর কিশোরীরা
পুড়ছিলো আগুনে—
রক্ত লহরে ভেসেছিলো রাজপথ
ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত
যতক্ষণ না
অক্লান্ত পৃথিবীর নাটকীয় দৃশ্যে
একজোড়া মূল্যহীন  জুতো
দৃশ্যমান হয়!


শিশুর কান্নাভরা পৃথিবীর ঘন গন্ধে
আজও বৃষ্টি নেমেছে মুষলধারে
সমস্ত শরীর ভিজে যাচ্ছে রক্তফোঁটায়
এটায় পৃথিবীর প্রবঞ্চনা—
মাংসের ঘরে আগুন পুষে
বসন্ত আর বৃষ্টির বন্দনা আমাকে হাঁটায়!


ভেজা মাটির শরীর
শিশুর গভীর ঘুমের ভেতর শুয়ে
পৃথিবীর শেষ কণ্ঠস্বর
বধির আর বোবা
একা একাই জ্বলছে অন্ধকার
আমাদের দুঃখ কষ্টের প্রতিবাদ
দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে কাঁচ-ঘড়ির ভেতর!


শেষ পর্যন্ত তারা
সাহসী ছিলো
বিশ্বস্ত ছিলো
এবং করেছে রৌদ্রময়  
শীতার্ত অনুভূতির সমগ্র শহর!

এখানে আবদ্ধ মানুষ পোকার যন্ত্রণায়
শকুনের ডানার ছায়ায়
পোকা-মাকড়ের শক্তিশালী মুখ
নতুন দিগন্তের সংকীর্ণ পথে
সংশয়ের বুদবুদ!


পৃথিবীর নীরবতা
রক্তাক্ত করেছে মেঘের শরীর
সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে
ভয়ঙ্কর দুঃসময়ের বিষাক্ত তীর!


প্রজন্মের রক্তপাঠ!
দামাল কিশোরের দল
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দাও
আগামী পৃথিবীর নতুন আনন্দ পাঠ!
-স্বপ্নময় স্বপন©