এই গোলার্ধে
চুমুক রাখছি কপোল ছুঁয়ে
নেমে আসা অশ্রু
চাঁদ যখন মন্থন করে দীর্ঘশ্বাসের জল
সুখনিদ্রায়!


সড়কবাতির হেঁয়ালি
ঘুমের ঘোরে অযথার্থ কথার টুকরো,
স্নান করে স্ফটিকের জলাধারে
সন্ধ্যার ম্লান ছায়ায়!


আজ রাতে
জেদি সূর্য আচানক
মেঘেদের আনাগোনার ভেতর
কোলবালিশ ও খুঁটিগুলোয়
যুক্তি এনেছে আমাদের নগ্নতায়
আনাড়ির মত অব্যাখ্যাত অন্ধকারে
আমার বিগত প্রেম ঘুরে বেড়ায়
এলোমেলো পায়ে অসীম ধৈর্য বুকে
স্বপ্নের ঘোরে!


এখন এখানে
বিপদজনক তুমুল এক বালিকা
ভয়ানক আগুনের প্রতীক্ষায়
রেশমি স্বচ্ছ বসনের আড়ালে
আকাশ বিস্তৃত গোলার্ধ দুটো
অক্ষাংশ বেয়ে ওঠা পুরুষ্ট থাম
সেঁটে যায় রেটিনায়!


ওর চাহনি
দৃষ্টির ছোঁয়া ছাপে
ধূসর বাতি জ্বালায়
ঠোঁটের ছাপ সহ
অবশিষ্ট পুরোনো স্মৃতির
পরিপক্ক দাঁতে!


নৈঃশব্দের অবহেলিত ত্বকের গভীর থেকে
আগামী কোনো রাতে
খুঁজে পেতে পারতাম
পৃথিবীর শেষ অংশে
নির্ভরতার কোনো অজানা সমুদ্রতট!


অন্যভাবে,
অথবা
অন্য কোথাও!
-স্বপ্নময় স্বপন©