বেঞ্চিতে বসে খড়িমাটি স্লেটে বর্ণমালা লিখলাম বলে
তুৃমি গাল ফুলিয়ে কাঁদলে।
ক'দিন আগেই তো হেডস্যার আমাকে ডবল প্রমোশনে বেঞ্চে বসালো। তোমার ভালো লাগলো না।
মাদুরে বসা সেই তুমি জুড়লে কান্না
কত আদরে তোমায় ভরিয়ে দিলাম ওষ্ঠ নধর!
তবু থামলে না......


তুমি নিয়েছিলে বাড়িতে বানানো দোয়াত ভর্তি কালি; কঞ্চির কলম দিয়ে তালপাতায় তুমি ক - ঝ পর্যন্ত লিখতে, বাকীটুক আমি।  
তুমি হা করে তাকিয়ে থাকতে আমার দিকে
আর আমি?
হাফ প্যান্ট ছোট্ট ফ্রকে তোমার লিকলিকে দেহের মধ্যে খুঁজতাম ভবিষ্যতের যৌবনাবতী নারী।
সেটা কি আমার খুব বেশী অন্যায় ছিল? তখন তো কোন অহংকার ছিলনা তোমার!


বৃক্ষচারাও যেমন দেহমেলে আকাশ ছুঁতে যায়
দিন দিন চোখের সামনে তুমিও ছড়ালে সুবাস চারদিক।


ভ্রমর এলো ঝাঁকে ঝাঁক, মধু তুলবার সে পরম সুযোগে তুমি দূর হতে দূরে চলে গেলে পাখিদের উড়বার মতো ডানা মেলে। মনে কি রেখেছিলে একটুকু অবহেলে?


সময়ের গণ্ডীতে নিজেকে বাঁধতে পারিনি বলে আমিও পাড়ি দিয়েছি দুঃখের সাত সাগর তেরো নদী।
কষ্টের সিথানে মাথা রেখে নির্ঘুম কাটিয়েছি শত আলোকবর্ষ দিন
ভুলে থাকার বিষণ্ণ সাইরেনে তোমাকে শোনাতে পারিনি
শ্রাবণের গান, তৃষ্ণার ধ্বনি
আমাকে ক্ষমা করে দিও