♣ময়মনসিংহের নান্দাইলে আমার কর্মজীবনে সবুজ নামের একটি ছেলের মায়ের হঠাৎ মৃত্যুতে তার জন্যে তৎকালে ০৪/০৪/১৯৯৭ইংতে লিখিত কবিতা।♣


মা, ধরিত্রীর ধারিণী জননী তুমি
তোমার চরণ তলে দাঁড়ানো আজ আমি
কান্না জড়ানো বুকে।


সাধ করে করে সত্যই ঘরকে সাজাবো বলে
পুতুল কিনতে বনিকের হাটে যাবার
এক ঝটকা চলছিল আয়োজন
ছোট্ট ভাইটির আবদার জড়ানো ঠোঁটে
সবটুকু ভরসা ছুঁড়ে দিয়ে বলতে বলতে
যে আমি তোমারই "সবুজ" বুক চিরে চলে যাবো
চেনাজানা মাঠঘাট, সুরাটি, তারাপাশা, অদূরের হাজিপুর ছেড়ে
ওই দূর রেলের রাস্তায়,অচেনা কোন এক লোকালয়ে।


সন্ধ্যার আনন্দঘন মেঘের পাল ছিঁড়ে
যে আমি ছুটে এসে দোর গোড়ায়, হাঁক দিয়ে জানাবো সোচ্চার
মা, মাগো এই দ্যাখো, টগবগে স্বপ্নের ঘোড়ায়
আমিই তোমার সম্পৎ, এসেছি বাস্তবে, কল্পনায়।


চিন্তায় হিম হয়ে আসে গা
দুপুরের আলোর রোশনাই ছিল ভালো
নিকোনো উঠোনে সিদ্ধ ধানকে শুকানোর আয়োজনে
তোমার চলমান আলো নিভে গেলো!


কী করে জুড়াবো অনন্ত জ্বালা !?
ভেতরের বুদ্বুদ উঠছে নামছে সতত
কনিষ্ঠেরা তাই মাথার ওপরে ছাতা চায়
দিশাহীন বাবার চাহনি
একটি অবাক বিস্ময় দ্যাখে
আমি কি পারবো সামলাতে??
******************************