এখন আর কবিতা পড়া হয়না সতত
যা পড়ি তা কবিতা নয়  কেবলই মনের কষ্ট
নিজেকে পুড়িয়ে বানানো ছাই আর ভষ্ম
হয়ে ওঠেনা তাই সময় পেরোনো কবিতা সময়ের মতো।


সুকান্ত মানুষটা বাবু হতে না হতেই চলে গেলো
ওই পারে, গেলো আবুল হাসান, হুমায়ুন কবির,  রুদ্র শহীদ বহু অবিনাশী কবিতার জনক এককালের।


এঁদের মধ্যে একজনকে মাত্র দেখেছি স্বচক্ষেঃ


সালটা উনিশশো উননব্বই  
সবে উচ্চ মাধ্যমিক টপকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘ্রাণ নিতে গিয়েছি রাজধানী শহরে ;
তারমধ্যে একদিন
টিএসসি কাঁপিয়ে কবিতার বারুদ ছড়িয়ে নেমে এলো চোখের সামনে রুদ্র।
সেই ফাঁকে,
একটি খাতার পাতা ধরিয়ে দিয়েছিলাম তাঁর হাতে, সন্দেহহীন লেখা ছিল তাতেঃ
"  আমি একদিনও উদাসীন হয়ে ছোঁব না তোমার খোঁপা
ছোঁব না চিবুক, নির্মল হাসি যেটুকু আনন্দ রোপা
ছুঁয়ে যাবো মন বিদায়ের ক্ষণ এইটুকু রেখো মনে
ভালোবাসা ছিল চিরকাল রবে প্রতিক্ষণ প্রতিজনে।
মাঝে মাঝে হবে মনের কথা মনপত্রের ন্যায়
পাঠিয়েই দেবো অজানার পথে আকাশের ঠিকানায়। "


আকাশের ঠিকানাই হয়ে গেলো ওঁদের আবাস
প্রতিরাতে ওঁরা কবিতা হয়ে ফোটে আকাশের গায়
প্রতিপ্রাতে স্মরণীয় হয় ওঁরা
অবেলার ডাকে ঘর ছাড়া হলেও ওঁরা
আঁধার ঘরে আলো জ্বালে প্রতিক্ষণ।


কবিতা তাই পড়া হয়ে ওঠেনা
ওঁরা আমাদের মনটাকেই কবিতা করে দিয়ে গেছে
অনুক্ষণ জ্বলি তাই কবিতা দহনে।
==========================
★এটি আমার একটি পুরোনো ও অগগ্রন্থিত কবিতা★