আঁধার রাত্রি ঠেলে চলতে গিয়ে ক্ষীণতর হয়ে গেছে দৃষ্টির সীমানা, পাখির কান্নায় তাই বুঝে নিতে হয় দুঃখবাদী সকাল এসেছে পরিযায়ী হাত ধরে
ফেলে আসা জীবনের শুভাশ্চর্য মুহূর্তগুলো ভুলেও উঁকি দেবার ইচ্ছে খোঁজেনা আর--


বিস্মৃতি হলে মন্দ হতো না---
মধ্যাহ্নের সে আলোকরঞ্জন দিনে বিশ্বাসী হাওয়াও এগিয়ে নিয়ে যেতো জীবনের ভাঙ্গাচোরা বাঁক
অধরা স্বপ্নও যাদুর বাঁশির মতো মুঠো ভরে যেতো
অবলীলায়, পায়ে এসে গলে যেতো জোছনা চাঁদের।


আহা! নদীর স্রোতের মতো বইয়ে যাওয়া সে মুহূর্ত গুলি দীর্ঘতর হলেই বা কি এমন হতো
ক্ষণগুলি তাহলে কি খুব বেশী বেমানান ছিল?
ও' আকাশ, এজন্যেই কি কেঁদে চলো তুমি অবিরাম?


তারপরও এতোটুকু আশাকরে থাকি,
নিয়তির এই ছায়াবাজি খেলায় আবার রৌদ্র এসে ঝকমকি দেবে, হয়তো আবার দৃষ্টিকে ফেরাবো সুদূর
ফাগুনের রঙ এসে রাঙাবে উঠোন। রাঙা প্রভাত আবার এসে বলবে স্বাগত।
_________________________