এবং হৃদয়ের গভীর ক্ষতে
নতুন প্রজন্মের দাগ সেঁটে আছে
কেননা এখানে আর
স্মৃতির কড়ি কাঠে নাড়া দিয়ে কাজ নেই
বৃথা সব ইতিহাস।


এই ঘরে, এই ভিটেয়, এই গাঁয়ে
বাবা-দাদা ছিল একদিন
কালের খতিয়ানে আমিও
বাবা-কাকা হয়ে জমা আছি বহুদিন
অথচ এখন আমি আর চেনা মুখ নই
সেই আমি, এই আমিই
অচেনার আনন্দলোকে, অচেনাই বনে গেছি।
এরাই চিনে নিক অচেনার জগত
এই বলে দোয়া মেগে
হারাই অচেনায় আমি অচেনার লোক
তবু কেন যেন মনে হয়,
আমি তোমাদেরই লোক  
তোমাদেরই লোক।
                                          
আমার জন্মস্থানে আমিই অতিথি আজ
কেননা এখন প্রজন্ম এসে ভরে গেছে ঘর
ভাইপো ভাইঝিরা
বিষময় কোলাহলে আপন করে নিয়েছে সব
এখানে নেই আর পূর্বের স্বাধীনতা
কোলাহল গেছে বেড়ে, এরা এদের জগতকে খুঁজে পেয়েছে,
পেয়েছে নিজস্ব করিডোর
এরই মধ্যে আমি এক উটকো অতীত
সময়ের অতিথি হয়ে
এসেছি প্রজন্মের দ্বারে।


বছরে দু 'একবার আসি
বৃদ্ধ বাবা মা'র পদধূলী নিয়ে যাই
বারোয়ারী বাংলার পথে প্রান্তরে
একজন কায়িক যাযাবর
নিয়তিকে মেনে নিয়ে চলি।


আমার শত বর্ষের সংগ্রাম ঝিম ধরে যায়
নিসঙ্গ মনটাকে বারবার প্রশ্ন করে পাই
এ দেশের, এ বিশ্বের কোটি কোটি শিশুদের ভীড়ে
আমার প্রজন্ম! আমার প্রজন্ম এসে উঁকি দেবে।


যদিও জন্মভূমি ছাঁড়ি
পুরাতন ঠেলে ফেলে নতুনদের স্থান করে দিতে
তবুও তো বেদনা জাগে, ব্যথাতুর হই।
=========================
★এ কবিতাটি আড়াই দশক আগের এবং অগ্রন্থিত।  তখন বাবা মা বেঁচে ছিলো। আর আমার ছিল যাযাবর জীবন।★