আহা! সন্ধ্যার স্নিগ্ধ বাতাসে জুঁই দোলনচাঁপার মতো আমিও দোল খাচ্ছি প্রতিনিয়ত, সৃষ্টিকর্তার অমোঘ ইশারায়
মৃত ঘাস, লতাপাতার মতো শুকিয়ে যাচ্ছে জীবনের ভেতর-বাহির।


ভেঙে যাওয়া এ জীবন আর আলোর শ্লোকগুলো
ঘন অন্ধকারের ভীড় ঠেলে বেড়ে ওঠে
বুকের মলাট ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে সর্বগ্রাসী এক লম্বা নদী। ক্রমশ আকর্ষণ করে চলে নিবিড় ব্যথার শতদল।


দুর্ভিক্ষের শকুনের মতো শরীরকে খুবলে খাচ্ছে কোন এক দুরারোগ্য ব্যাধি ; বাড়াচ্ছে শঙ্কা,ধ্যানীর গভীরে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা।
অজস্র সমকোণে আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি,
একজোড়া চোখের কারুকার্য নিয়ে প্রার্থনায় জল ঝরাচ্ছে গৃহের রমণী।