পাশের একচালা ঘর হতে মাংসের ঘ্রাণ
আসে দেয়ালের এপারে। ওখানের মানুষগুলি
প্রায়ই ছড়িয়ে ছিটিয়ে খায়
তার সাথে চলে রঙিন বোতলে ঢালা জলে।


এপারের উনুনে শাকভাত, তাও দিনান্তে কোনোমতে
সন্ধ্যায় ডুবে যায় চাঁদ, দুঃখের অন্ধকার নামে
বিনোদনে এসে
শ্রান্ত মানুষটি নেমে যায় শীর্ণকায় জীর্ণ দেহ হতে
চিটচিটে কাপড়ের আঁচলে হাওয়া নেয় দেহ
আহা! দেহ সুখ !! এটাকেই বলে।


বাঁশঝাড়ে পুকুরের পাড়ে ঝোপঝাড়ে কতকগুলো কানাকুয়ার বসবাস , রাতের অন্ধকারে ওরা বহুদিন ধরে দুঃখ চাষ করে
ভয়জাগা কালো অন্ধকারে, কাউকে কি ছাড়ে কোনকালে ?


বহুকাল বসবাসে গৃহস্থালি বাড়ে কমে চলে থামে
রঙ্গমঞ্চে প্লাবন নামে আদি পৃথিবীর
মাংসের ঘ্রাণ তবু ছাড়েনা বিত্তশালীর ঘর।
_________________________
টুঙ্গিপাড়া,