মোড়ের মাথার চা দোকানটায় বসলেই
একটা হিসেব আসে মাথায়
কোন ব্যক্তি কতটা ঘৃণা জমা রেখে গেলো
কতটা হিংসে কাগজের টোঙায় করে নিয়ে গেলো
আর কতটা ঝড়ের রেশ রয়ে গেলো চায়ের পেয়ালায়, সেই হিসেবটা.......
প্রায়শ দেখি রক্ত ঝরা মজুর, কান্নায় নত মুখে হেঁটে যাওয়া পরাজিত, কখনো দম্ভে বুক ফুলানো খেটে খাওয়া মানুষের সর্বাঙ্গ চুষে নেওয়া দুর্জ্জন।


ভেবে দেখলাম, আমার মতো মানুষের এসব হিসেব কষে লাভ নেই
ওখানে এসে যারা রোজ চা খায়, যেসব মানুষ এসে আড্ডা মারে
তারা কেউ মজুর, কেউ মহাজন, কেউ দুর্জ্জন।
সজ্জন মানুষ কাকে বলে, তা কিন্তু আমি খুব একটা জানি না, অনুমান করি।


কায়ক্লেশে খেটে খাওয়া কেউ কেউ এসেও দোকানটায় বসে, কদাচিৎ কিছু কিনে খায়
আলাপ-আলোচনা করে চলে যায় কিন্তু অন্তরালে তার ঠকে যাওয়ার করুণ গল্প কাউকে বলতে পারেনা
ওই যে মহাজন আর দুর্জ্জনেরা, ওরাই মজুর ঠকায়
তরতর করে ওরা বেয়ে যায় ওপরতলায়।


হা ঈশ্বর! কেন এ ওপর তলা আর নীচের তলা?
একই মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া মানুষগুলোকে কেন এ বিভাজন করে দিলে বুঝতেই পারিনা।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
টুঙ্গিপাড়া,২৮/০১/২০২১