রূপান্তরহীন ধ্বংস আর সংহারহীন
আমিও চেয়েছি বেঁচে থাকতে ;
তা আর দিলে কই
তবে কেন আজ নিষ্ঠুর শব্দ ঘাতক
পদ্যময় কবিতা হই?


কবিতায় এতো কেন কান্নার শব্দ ওঠে রাগে
হতেও পারতাম একজন শ্রমজীবী কৃষক মজুর
একদল বিলক্ষণ সাধারণ মানুষের ভাগে,
আমারও চরমতম বিচরণ হতে পারতো জানি
তবু কেন এ গদ্যময় পৃথিবীর বাঁকে
শব্দকে চষে আমাকে ফলাতে হয়
জীবনের দহন আগুন ?
আমি কেন পারিনা ঘুমুতে নির্বিকার,
চিন্তাহীন চরম ঘুমে?
পারবে কি দিতে এ প্রশ্নের বাতলানো উত্তর
এ কঠিন দিনে?


কবি আর কবিতা কি খুব সাধারণ?
বৃথা এই ভাষার অলংকার?
তবে কেন ছেড়ে যাই বারবার
মায়াময় কন্যা জায়া জননীর সংসার?
কেন আমি থাকতে পারি না
ভাবনায় তুচ্ছ অতিসাধারণ?
বুকের ভেতর কেবল পুষে যাই
এমনতর প্রশ্ন হাজারটাই।