খুব চেনা ছিল এই গাঁ, ছায়াঘেরা মায়াবিনী পথ
খুব চেনা মাটি, দেহের তুলনা
আজন্মকাল, পিতা, তার পিতা আবহমান বাংলার এইতো ঠিকানা।


এইতো সরিষা ক্ষেত পুকুরের ধার পাঠশালা বায়ে ফেলে নামাজের ঘর
ছেলেদের খেলা মাঠ, ক্ষীণ নদী খুব চেনা আযানের স্বর


খুব চেনা ভোর দোয়েলের দোল দিয়ে ফেরা
কদম ফুলের মতো ফুটন্ত যৌবন
এই তো আমার সেই পাড়াগাঁ সরব
চাঁদের হাসির মতো মেলানো জীবন


অথচ অভাবী মুখ যখন শ্রাবণের চোখে দেখি ঝরছে অঝোর, খুব বেশী অসহায় থাকি
অঘ্রাণে সুখী সুখী ভেবে, সারা বর্ষায় উপোষী জীবনেরে নতমুখে তবু আনন্দ ভরে রাখি।