বিজলী বাতি হয়ে জ্বলতে চেয়েছিলাম
চেয়েছিলাম লাইনের শেষ মাথা অবধি পৌঁছে দেবো আলো
শিশির পড়বে,
কোন বৃক্ষের কোটর হতে পেঁচা ডেকে উঠবে
দূরে কোথাও ডাকবে গৃহস্থ বাড়ির না পোষা কুকুর
মাঝে মধ্যে দু'একটা বাদুর উড়ার শব্দ পাবো
খা খা শূন্য রাজপথ , যানবাহন, জনমানব নেই
প্রেমের জাতক জাতিকার চোখে যেমন ঘুম নেই
তেমনি আমার চোখেও থাকবে না ঘুম
অথচ আমি প্রেমিক নই, কবি নই, ভাবুক নই
নই কোন রাতজাগা ধর্মভীরু
কেবল দু'একটি মাতাল শব্দ নিয়ে খেলা করি
অগোছালো কথাগুলো সাজাতে চেষ্টা করি অহরহ।
অখণ্ড অবসরে শিখবার শিখাবার কৌতুহলী মন নিয়ে হাঁটতে চেয়েছিলাম
ভেবেছিলাম রাস্তার শেষ মাথার রাস্তা হবো আমি
হেঁটে যাবে গাঁয়ের স্বজন, পাশের নির্জন কবরস্থানে দাঁড়িয়ে মোনাজাতে কাঁদবে কেউ; কবরের গাঁ জড়িয়ে
ফুটবে নয়নতারা।
ভেবেছিলাম জল হয়ে দেখাবো স্থল, ফুল হয়ে ফল
জীবনের ভাঁজে ভাঁজে তুমুল অঘ্রাণ।
ভাবনার বাঁকে বাঁকে বিষাদের কালিমা ভরা
ভাবতে পারিনা আর____
আসলে আমি তো কবি নই! স্কেচ আঁকা শিল্পীও নই!
তবুও আঁকতে পারি চোখের জলের নদী, লিখতে পারি বাংলা বর্ণমালা।
খুলতে পারি গগনজোড়া শুভ্র আলোর হাসি।
_______________________
২৮/০১/২০২৪