বহু প্রতীক্ষার পর
আমার ঘরের দাওয়ায় একদিন জ্যোৎস্না এসেছিল
উঠেছিল শুক্লপক্ষের চাঁদ
ভেসেছিল চরাচর
দূর বনে রাত্রির কানাকুয়া ভাঙছিল নীরবতা-
শিশিরের স্পর্শ সুখে
জীবনের গাঢ় কালো অন্ধকার পেরিয়ে
হাত বাড়িয়ে দেবো ভাবছিলাম
ভাবছিলাম এমন জ্যোৎস্না ভাগাভাগি করে নেবো
তখন তুমি ছিলে- অন্যখানে
অন্য এক মায়াবী স্টেশনে স্বপ্ন সারথি হয়ে


সময়ের কল্পিত তরুশাখা কখনো হয়নি পত্রশূন্য
কখনো হয়নি পাখিশূন্য হরিৎ বিকেল
অজান্তেও আসেনি বিরহ আকাশ
অজস্র ফুল তাই ফুটেছে খেয়াল প্রকৃতির
নিশ্চয়ই তোমার বাগানেও অলিদের বড্ড আনাগোনা
ভাঙ্গনের তীব্রতায় জেগেছে ভালোবাসা চর
পললের পরতে ঢেকেছে দুঃখের আদিম জমিন
তাহলে বিজন রাতে জ্যোৎস্নাস্মাত হতে
দোষ নেই কোন আর-