পড়া হয়নি সত্তরখানা চিঠি
যত্নকরে রেখেছি মনের কয়েদখানায়
যা আজো মহামূল্যবান।
বৈকালী সিনেমা হলের পাশ দিয়ে জংশনে যাবার রোডে
ডাকঘরের পোস্টম্যান যাবের আলী রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার দিয়ে বলেছিল, "একখানা সেরা চিঠি আপনার। "
খুব বেশী আনন্দ পাইনি সেদিন-
ওহিদুল নামের পোস্টম্যানটা সোনাডাঙ্গার বাসায় এসে পঞ্চাশ টাকা নিয়ে ছাড়লো, সে বলেছিল," ওটা নাকি এক পাতার এক বিশাল বড় চিঠি।" যাতে লেখা আছে ভবিষ্যৎ, বেঁচে থাকবার উত্তাল হাতছানি
সে চিঠিটাও খুলে পড়া হয়নি আজো;
চিঠিগুলো সোনা রঙয়ে রঙিন হয়ে আছে এতদিনে
পাছে আমার প্রতিভার কষ্ট হয়
বিরহের রঙ তুলিতে আঁচড় লাগে কঠিন।


এ শহর ছেড়ে যাবো না বলে
বড় বড় চাকুরীর চিঠি পেয়েও খোলা হয়নি আজো
কষ্টের রুজি ফেরী করি অচল পাড়ায়
নোনাপড়া শরীরটা টানি রোজ রোজ
সন্ধ্যার আলো আঁধারীর মাঝে ঘরে ফিরে
প্রথম তাহার মুখটি দেখবো বলে ;
আহা! তার, আমার আর এ শহরটার বড্ড মাখামাখি ভালোবাসাবাসি বলে!


আবার যদি নিরালা কিশোর হয়ে যাই
আবার যদি বৈকালী হয়ে মুজগুন্নী যেতে সমান্তরাল  রেল লাইনটা পাই
আদুরে পৃথিবীতে আমার সেই হারানো বেহালাটা খুঁজে পাই, খু্ঁজে পাই ফুলবাড়ি হতে দৌলৎপুরে চলাফেরা সাইকেলের সময়
বারোয়ারী পোস্টম্যান দলে দিয়ে যায় যদি ফেরারী চিঠি
বেছে নেবো রোদেলা দুপুর, নেবুতলে পরিয়ে দেওয়া প্রেমের নূপুর, একান্ত চাওয়া পাওয়া বেদনার সুর।


বলে দেবোঃ
চলো যাই একসাথে কিছুটা সময় আরো কিছুদূর--
__________________________
সোনাডাঙ্গা, খুলনা
রচনা ০৩/০১/২০০০ইং