একটি মানচিত্র আঁকতে গিয়ে এঁকে ফেলি ঘর,
আলো আঁধারের নির্জনতা
সচকিত চাহনি, পাখাহীন রঙ্গীন প্রজাপতি
এঁকে ফেলি কবিতার রাত, সময়ের অসীম যুদ্ধ শব্দের


একটি মানচিত্র আঁকতে গিয়ে এঁকে ফেলি বারোশত নদী, পাড় ভাঙা স্রোতের বিপরীতে আবহমান বাংলার জনক জননী
সূর্যাস্তের রক্তরাগে এঁকে ফেলি ফুলের অবাধ স্বাধীনতা
নেশাখোর শয়তানের নির্জন আবাস, কুয়াশার ঘর
রাতের করুণ অলিগলি।


একটি মানচিত্র আঁকতে গিয়ে এঁকে ফেলি গুলশান বনানীর সমৃদ্ধি, রাষ্ট্রের ননী খেয়ে বেড়ে ওঠা ইঁদুর
আর লুটেরার মুখ
আঁকি অদূরে কান্নারত কৃষক-শ্রমিক, অসহায় জীবনের স্রোত--
আরো কিছু আকঁতে গিয়ে শিল্পমনা মন এঁকে ফেলি
ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকা বৃদ্ধ অথবা শিশু
যে কিনা তাকিয়ে আছে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের দিক।