দেখে এলাম শর্ষে ক্ষেত
আর সোনা ফলা ফসলের চর
গাঁয়ের পাশ দিয়ে বয়ে চলা প্রাণের মধুমতি
আলপথ, ঘাসফুল, অনেক ভালোবাসা মেশানো
দুরন্ত ছেলেবেলা
হোগলার বন, কাশফুল, হটটিটি পাখি,
বাবুইয়ের বাসা আর মন ছুঁয়ে যাওয়া উঁইয়ের ঢিবি
বিগত হয়েছে বলে দুঃখ পাই বড়।
নজরে আসে না মোটেই নিতাই জেলেদের দল
ইলিশের জালসহ বৃহৎ তরী
গলুয়ের কাছে বাঁধা ভোঁদড়ের খোয়াড়।
নেই সেই বাবলা বাগান, তাল গাছ,  গোসলের ঘাট
যান্ত্রিক পৃথিবীর কাছে নদী আর নদীর বহমান ধারা   হার মেনে আছে বহুদিন ধরে
ইটের পর  তৈরী হচ্ছে ইট ওখানে নেই সেই আগেকার নিরালা কিশোর।
ঘোষের ঘাটের মাঠে সে রকম আনন্দ জোটে না
নতুন প্রজন্মের আর
মুঠোফোনে দুনিয়াটা হাতের নাগালে খুব
ইত্যাকার ভালোবাসা ছাই হয়ে উড়ে গেছে
বেদনার মত
নদীর কাছে কি জবাব চাইবো হাজারো প্রশ্নের বলো!


নাম না জানা ওই কূলে গড়ে ওঠা তাহাদের ঘর
জোছনার সাথে মিশে পরাণের গহীনে দিত টান
আহারে পিঞ্জিরা আমার!


কী এক টান যেন টেনে আনে মাঝে মাঝে
হায় পাথরের নদী!
হারিয়ে যাই সেই দিনে
চেনা ফুলের অচেনা সুবাসে।