প্রতিদিন হল্লা করে বাড়ছে শহর, বাড়ছে মানুষ
মানুষের রোজগার
মানুষগুলো হচ্ছে আরো বেশী যান্ত্রিক, আরো ব্যস্ত
অথচ শহর থেকে উধাও হয়ে গেছে শান্তি, বাসের পরিবেশ।


বাবা বলতেন, শকুন যেদিন শহর ছাড়লো, গ্রাম ছাড়লো এমনকি জঙ্গল ছাড়লো, সেদিন হতে শান্তি নেই
সেদিন হতে মানুষের মনে কষ্ট
অথচ শকুন চোখ অমঙ্গল বলে ধারণা সবার।


প্রতিদিন পাল্টে যাচ্ছে জীবন-যাপন, বাড়ছে যাপনের প্রতিযোগিতা, কমছে সবুজ;
ধূসর হতে হতে মানুষও বিবর্ণ হচ্ছে ক্রমশ
পাখি ডাকা সকাল সন্ধ্যা নেই,মেঘলা আকাশে বৃষ্টি নেই
বাতাসে বিষাক্ত ছোবল। মায়াবী বসন্ত নেই, গাছে গাছে নাচে না দোয়েল, শ্যামা, ফিঙে
আলোর জোছনা নিয়ে এখন আর ওঠেনা হলুদ চাঁদ।


প্রতিদিন শুকোচ্ছে নদী, মন থেকে, গাঁও থেকে, নগর থেকে
সমুদ্রের লবণাক্ত ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বুকে,পিঠে
মরুময় জীবনেরে শুধোচ্ছে-- জীবনকে টেনে আর কত
নামাবে ধুলোর আস্তরণে?


আকাশও বিবর্ণ হচ্ছে প্রতিদিন, পাল্টাচ্ছে তার চিরায়ত অবয়ব
নিষ্কৃতির কোন পথ কী জানেনা মানুষ?
যোজন যোজন পথ পাড়ি দিয়ে সভ্যতার চরম বিকাশে এসে, হে মানুষ! গড়তে গিয়ে ধ্বংস করছি না তো?