অভাবগ্রস্ত নারীকুল আর একটি ম্রিয়মাণ নদীর কাছে
বহুদিন হতে ঋণী হয়ে আছি
অনাদরে ফোটা ফুল আর ক্ষীণতম চাঁদের জোছনার কাছেও ঋনী আমি
এ ঋণ মূলের গভীরে তোলে ঢেউ, ভাঙে তীর।


ভাঙণের খেলায় প্রলয়ের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে
প্রত্যহ পার হই স্বর্গ মর্ত্য পাতাল প্রদেশ
তমসাচ্ছন্ন বেদনার নীল বিষে আক্রান্ত হতে হতে
গভীর নদীর বুকে জাগতে পারিনা স্বপ্ন হয়ে
নারীর মকমল সুখ হয়ে।


ফাগুন খোঁজার অবকাশ নেই বলে
পাবো না ফিরে শৈশব কৈশোর তারুণ্য আর
তাই বলে হারিয়ে যাবে জীবনময় কাব্য, ব্যাকুল হৃদয়ের একরাশ গোলাপি স্মৃতি?


হারাতে চাই না আর
ঋণী আমি থাকলাম না হয় জনমভর
নদী ও নারীর শরীর জুড়ে বয়ে যাক নবান্নের উৎসব
তীর ভাঙা ঢেউ এসে আছড়ে পড়ুক বুকের ওপর।