প্রতিদিন কে ডাকে পাথর চাপা স্বরে
যার কান্নার আওয়াজ  ভাসে সুরের মিনারে
তারসাথে কোন সুদূরের পথ হাঁটে বিচ্ছিন্ন আকাশে!
আমি তো জানিঃ
ডাকে গাঁয়ের আলপথ স্নিগ্ধ সকাল ভাত শালিকের ঝাঁক, পান সুপারির হাসি
কী করে বোঝাই বলো ! এতকাল ধরে হাঁটি, চলি
এই যে উঠোনের চাষ, এতটা ভালোবাসাবাসি
ক্ষুধার শয্যা ক্রমশ উঠেছে বেড়ে খুব তাড়াতাড়ি।


পরিত্রাণের ছায়া ফেলে মেঘের কলায় বেঁধে ঘর
মা মাটি আর জন্মভূমির কাছে
দুধের দামে খাঁটি রক্ত বিক্রয় করে বাঁচি
কখনো শোক কখনো হাসি কখনো ধুসর পৃথিবীতে
চাঁদের সাথেও সুখের বিনিময়ে আছি
চাঁদ তাই কখনো আলোয় কখনো আঁধারের বসবাসে থাকে।
যেখানে করেনা কাজ কোন রাষ্ট্রযন্ত্র, কোন সভ্যতা
করেনা হাতছানি হাত পুষ্পের,শত কণ্টক হাসে
ক্রুদ্ধ চেতনায়
তবুও বুনে চলি স্বপ্নের পৃথিবী, চাঁদ-তারা শোভিত
মুগ্ধ আকাশ জ্বল জ্বলে ভবিতব্য।