যে যা ই ভাবে ভাবুক
কবিতা আমার নিকট ভাতের বিপ্লব,
মুষ্টিবদ্ধ হাত, অস্ত্র ধারালো
কবিতাকে তাই রোজ হাওয়ায় উড়াই, রোদে শুকাই,
বৃষ্টিতে ভিজাই, জীবনের স্পন্দন শেখাই
কবিতা কখনো আমার গৃহশিক্ষক, কখনো আমি কবিতার
বহুদিন কবিতার সাথে চলছে যুদ্ধ অথবা সখ্যতা
কখনো আমি বিজয়ী, কখনো পরাজিত হরিন শাবক, দুঃখী ভূতলশায়ী, মুমূর্ষু কংকাল
মরু আর মেরুঝড়ে লণ্ডভণ্ড জীবনের প্রাণস্পন্দন তবু কবিতাই


সে তো কোনকালে জেনেছি,
দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ, কৃষকের হাসি,পাখিদের গান, মুগ্ধ আকাশ কবিতার সভ্যতা
শ্রমিকের ঘাম, অনাহারীর চিৎকার, মুমূর্ষুর আর্তনাদ
প্রতিশ্রুত কবিতার কোন অংশ নয় কি?


আমি তো জানি, কবিতায় বেঁচে ওঠে কলম শ্রমিক,
অফিসের কেরানি, পেশাজীবী, যুবক যুবতী
কবিতা ছাড়া পৃথিবীতে নেই কোন প্রেম
মানুষের জন্ম মৃত্যু জীবন
কবিতায় আমি খাবি খাই, কবিতায় জেগে থাকি
কবিতায় আমি নিত্যদিন স্নেহের পৃথিবী আঁকি।