আমরা যাকে মানুষ ভেবেছিলাম, যার খুশীতে
বাহবা জুগিয়েছিলাম (২০০৬)
সে আসলে মানুষ ই ছিলো না কখনো—

আমরা কেউ কি কখনো পিশাচ দেখেছি?
দেখেছি কি তার হিংস্র নখর, বিষদাঁত কিংবা
লোলুপ দৃষ্টি?
আরব্য উপন্যাস পড়ে কিংবা অন্যকিছু হতে জেনেছি পিশাচের ভয়ংকর রূপ
কেউ না জেনে থাকলে আসুন বাংলাদেশে
দেখতে পাবেন,
একদল পিশাচ একটা বুড়ো পিশাচের অধীনে থেকে দেশটাকে কামড়ে কামড়ে খাচ্ছে
তাজা মানুষগুলোকে মেরে তার হাড় মাংস রক্ত মগজ
খেয়ে ফেলছে
কবর,শ্মশান, মনুমেন্ট, প্রত্ম বা ঐতিহ্যের ঘর, বিদ্যায়তনের নাম-ধামগুলিও সাবাড় করে দিচ্ছে

আপনি কি কখনো শুনেছেন পিতামাতা ছাড়া কোন মানুষ জন্ম নেয়?
পিতৃপরিচয় ছাড়া কারো পরিচয় হয়?
আমরা যারা জন্ম নিয়েছি,বেড়ে উঠেছি,
সেই আমাদের নামধাম পিতৃপরিচয় মুছে দেয়া হচ্ছে
মনগড়া স্বপ্নের বাগানে আমাদেরকে ঢুকিয়ে
রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু ব্যবহার আর জীবনমৃত্যুর টলটলায়মান অবস্থানে রেখেছে

কী চেয়েছিলাম আমরা? দেখলাম একজন মানবী চাষ করছে বাংলাদেশ, যাকে আমরা বলেছি ভোটের অধিকার হরনকারী স্বৈরাচার
আসলে সে ছিল একজন একক কর্তৃত্ববাদী
নিয়মতান্ত্রিক উন্নয়নের মডেল
(কেউ মানুক না মানুক)একবিংশ শতাব্দীর মহানায়ক।

আর, ২৪ এ আমরা যাদের বিজয়কে দেখলাম
কারো আত্মাহুতিকে স্যালুট জানালাম
খুশীতে হলাম আত্মহারা—
এখন কী দেখছি?
দেখছি, আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত বিপ্লবী
ক্ষমতার মসনদে বসে আছে ম্যাটিকুলাস প্লানার।

হায়রে মেধাবী সন্তান! কখন পাছার কাপড় উঠে গেছে সুনীল আকাশে, একটুও দেখতে পেলি না
বুঝতেই পারলি না দুর্ভাগ্যের অন্ধকারে ডুব গেছে দেশ
মুষ্টিমেয় হাতে ঘুরছে সুখের চাবি!
তোরা আর কী পাবি?  সবই তো যাচ্ছে নিয়ে কতকগুলো ভাড়াকরা বিদেশি কুলাঙ্গার।