বৈশাখের ধান পাকা মাঠ, আনন্দ মাখামাখি
রৌদ্র তাপে কৃষকের নাভিশ্বাস
তারপরও নড়েচড়ে বসছে মানুষ, ঘরে ভাত
পকেটে নগদ উপার্জন
বাবা থাকলে খুশীতে ভরে উঠতো উঠোন
আর মা? মা থাকলে রোজকার মতো রান্না করতো টেংরা পুটির ঝোল
কাঁচা আমে মশুরির ডাল—
~
তবুও জাহেদা কমলা হেলেনা ফাঁকা ধানক্ষেতে ঝরতা ধান কুড়ায়, ইঁদুরের গর্ত দেখলে ধান খোঁজে
সটান রোদ বৃষ্টি ঝড়ের মধ্যেও একাকী দাঁড়িয়ে থাকে কৃষকের রেখে যাওয়া কাকতাড়ুয়া
অভাব গিয়েও যায় না পুরোপুরি
ঘুরেফিরে রিজিয়ার ঘরে আসে বুকের অসুখ
~
মাদ্রাসা মসজিদ হুজুরের বাড়বাড়ন্ত খুব
অল্প পানিতে মাছ শিকারের মতো, বেহেশত কেনাবেচার মচ্ছব
পয়লা সকালে হাক পাড়ে তালেবএলম, সিঙিপাড়া মাদ্রাসার ধান আবার শরীফবাড়ি মসজিদের ধান
দিয়ে দেন আল্লায় বরকত দেবে—
~
শীরিষ চম্বল আমগাছ তলে টিনের চালের ঘরে
ঝিমোয় গাঁয়ের প্রবীণ
পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলেই হাক দেয়, কেডা যায়?
জানিস? আমি এখনো খেলতে পারি লাঠি
বাইচের নৌকায় টানতে পারি বৈঠা, হালের লাঙলে তুলতে পারি ঝড়, কোদালে কাটতে পারি মাটি
আমি এখনো ফুরোয়নি, ফুরোতে পারিনা
এ দেশ এ নদী এ জনতার মুখে হাসি হলেই আমার ছুটি
~
স্কুল মাস্টার, অফিস কেরানী, আদালতের উকিল পাইক বরকন্দাজ
কারখানার শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, ড্রাইভার, জলের কায়িক শ্রমজীবী তোমাদের?
মুষ্টিবদ্ধ হাত ওঠেনা ওপরে আর
সবাই আজ চাটুকার, চলছে ও হরদম যতসব চাটুকারি কারবার
~
ভাবতেই পারিনা আর
দেশ পেয়েছে নতুন করে মুখোশ পরা স্বৈরাচার
~
বৈশাখ আসে আর যায়
কৃষক স্বপ্ন বোনে, খাবার যোগান দেয়
কোর্ট প্যান্ট টাই পরা ভদ্রলোক আজীবন গরীবকেই চুষে খায়