দেখা করতে গিয়েছিলাম তোমার সাথে
যুগীখালী নদীর ব্রীজের ওপর
জোয়ারের জলে নদীটার দু'কুল ছাপিয়ে ভেসে যাচ্ছিল পরিযায়ী বেদে বহরের ঘরবাড়ি
আর তুমি ভেসে যাচ্ছিলে কান্নার জলে
হয়তবা ভুলে যাওনি একটুও সেদিনের কথা।


ভুলে যাওনি নদীপারে ফেলে আসা কবিতার কথা
খাঁ খাঁ রোদ্দুর স্নানে চড়ুই পাখির ছুটাছুটি
কিংবা হিজল বনের পাশে আধমজা পুকুরের জলে
কাকেরা কেমন করে স্নান সেরে উড়ে উড়ে কর্কশ স্বরে চলে যাচ্ছিল উঁচু উঁচু শিরীষের ডালে।


একটুও ভুলে যাওনি গাঁয়ের হালটে ফেরা
যৌবনাবতী বধুর হলদে শাড়ির আঁচল জড়ানো উদোম হেঁটে চলা ছোট্ট শিশুটির কথা
ঘুঙুরের শব্দটি যেন কানে বাজে এতদিন পর।


তবে কেন আজ দারুণ যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যাচ্ছ অবিরাম
কোন সে যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছো বারংবার
কথা দিয়ে না রাখার যন্ত্রনাটা কত বড়
একটু বুঝে দেখো না একবার
একবার দাঁড়িয়ে থেকে দেখো কারো অপেক্ষায়
অপেক্ষার প্রহর কাটে কত যন্ত্রনায়
একটাই পৃথিবী তোমার আমার জীবনও একই
মিছে যন্ত্রনা দিতে গিয়ে নিজেই পুড়ছ অথৈ
খুব বেশী প্রয়োজন ছিল তার?
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
টুঙ্গিপাড়া,