বাস্তচ্যুত হতে হতে আকাশও দিচ্ছে না ঠাঁই
অগুনতি মৃতদেহ ভাসছে রক্তের সাগরে
কোথায়, কোনদিকে যাবো আমি?
স্বল্প হতে হতে পরিসর
সামনে এগোয় না আর শৃঙ্খলিত পা
মৃত্যুর অমানিশা তড়পায় চারদিক


কেউ আর দেখছে না রক্তাক্ত পৃথিবী
চোখ নাক বন্ধ করে লিখে চলে হিসেবের খাতা
কত প্রাণ বলি হলে ভেতরে আনন্দ খেলে যাবে
কতটুকু ভূমি হলে খেলাঘর গড়া যাবে
কতটুকু ইতিহাস লেখা হবে যাত পাত ধর্মের সুনামিতে


অথচ আমিও মানুষ হয়ে জন্মেছিলাম
আমারও বাঁচবার ইচ্ছে ছিলো বড়
আমারও অধিকার ছিলো ঈশ্বরের পৃথিবীতে বিচরণ করি কিছুকাল


তোমাদের কাঙ্ক্ষিত অহম আমাকে জীবন থেকে তাড়ায়, ঘর-দোর ধ্বংস করে, ভিটেমাটি কাড়ে
আমি হারাই পরম্পরা
আমার কান্না পৌঁছে না বিবেকের সদর দরজায়
আমার ঈশ্বরও চোখ বুজে পিশাচের হোলিখেলা দ্যাখে
হায়রে!  দুঃখের পৃথিবী আমার!


রক্তাক্ত হতে হতেও আমি দিচ্ছি না হুঙ্কার
ধৈর্যের শেষ বেড়িবাঁধে নিলেও আশ্রয়
ভেবো না আমার করবার কিছু নেই
ভেবো না দূর্বল বালির বাঁধে আমি ভেসে যাবো
যদি দাঁড়াই, পর্বত হয়ে দাঁড়াতে না পারলেও
রুখে দেবার সাহসটুকু অন্তত অন্তরে পুষি।