গল্প কথা গেঁথে রেখেছি বহুদিন হয়
আমার বাড়ির গল্প
রেখে যাওয়া ভাগে নিয়ম আর অনিয়মে
পাড়ার চলতি সব মাতব্বরের শালিস দরবারের গল্প।


কোন এক গাঢ় অমাবশ্যার আঁধার চেপে তুমি এসে শুনে যেও চুপি চুপি
শেয়ালের রুটি ভাগের গল্প নিশ্চয়ই শুনেছো
এটা তার চেয়ে কমের কিছু নয়
মাতব্বরের ছেলে বলে কথা!
পাড়ার মা বোনেরা কতইতো ধর্ষিতা হয়!
কতইতো জমি হারা হয় উপেনের দল
ছন্নছাড়া ভিটেমাটি তাও আপন করে নেয়
আজন্মকাল ধরে বেড়ে ওঠে ওরা, নিরীহ তাড়িয়ে।


প্রাগৈতিহাসিক যুগ হতেই কারো বউ খেদিয়ে আনন্দ রোদে মেখে , তুচ্ছ বাকী সম্পদে চোখ রাঙার সুর এঁকে, শোনাতো বিরত্বের পরিচয়
একালে না হয় শালিসের মাধ্যমেই হয়!
পাড়ার সমাজ নামের চাপে নিরীহরা অমানুষ বটে
এরা কোন মানুষই নয়
এরা কেবল ওনাদের ভোগ্য পন্যবৎ
যখন যেমন খুশি ব্যবহার করলেই হয়।


রাস্তার পাশে চায়ের দোকানের আড্ডায় উচ্চস্বরে কথা কওয়া ওদের স্বভাব
ওখানে সাধারণ্যে চলাচল নিষিদ্ধ সাময়িক
বড় মিয়া, মেঝমিয়ার ঠেলায় চায়ের পেয়ালায় চলে ভাদ্রের তুফান, পান, সিগারেট, বিস্কুট, পাউরুটি, বেকারীর দাপটে মাতুব্বরের গাল ঢোল হয় নিরীহর পয়সায়
ভোগের পণ্যের মত রায় হয় উচু নিচু মেপে
সমাজ শাসন যাকে বলে!
এভাবেই
চলে আসা জীবনের পরম্পরায়
গোলামের ঘরের গোলাম হয়েই তুমি বাঁচো
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির কৃপায় নত হয়ে এ পাড়ায় আর
ও পাড়ায় যখন আছো।


এমন গল্পই তো তোমাকে শোনাতে চাই
বাপ দাদার আমলের থেকে একেবারে বর্তমানের গল্প
সময় করেই তুমি চুপি চুপি এসো।
শুনে যেও আমরা কেমন আছি!
__________________________
০৫/০১/২০২০