নদী পারের চেনা সেই গাঁ
সে গাঁয়ের মেয়ে তুমি, তোমাকে আজও মনে পড়ে
খাতার পাতায় নদী এঁকে তোমাকে দিলাম
সেই থেকে মধুমতী তোমার হলো--
তারপর বহু যত্নে নদী পাড়ে লাগালে চন্দনের গাছ
হলুদ চারা, রক্তজবা, হৈমন্তি ফুল
নদীর দুই পার সাজলো অপরূপ
পাখি আর মানুষের জীবনের গান, দুলে যাওয়া চাঁদ, ছড়ানো হলুদ রোদ, নদীর ভরা যৌবন।
দেহের বল্লরি সুশোভিত হবে ভেবে নদীকে তুমি পেচিয়ে নিলে বারোহাতি শাড়ির মতো
সে নদী ভাঙ্গলো অবুঝ সংসার ভিটেমাটি প্রেম
প্রার্থনালয় কবর শ্মশান
ভাঙ্গলো মনের দ্বার, আকাশের নীল ; ভেঙ্গে খান খান কতো স্বপ্ন বিকেল, সুখতারা রাত, প্রতীক্ষার প্রহর
আমি কি ছিলাম আমার, নাকি বেদনার?


খাতার পাতায় আঁকা নদী নিয়ে এখনো কী আছো  
হে! গাঁয়ের মেয়ে? আজও কী তোমার স্বপ্ন গুলো ভেসে যায় মধুমতী জলে!