ছমিরন, তোর জন্যে বকুল তলায় যেমন করে
থাকতাম অপেক্ষায়
তেমন করে আজও বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকি
আজও জ্যৈষ্ঠের ভরা রোদ্দুরে রোপন করি
প্রতীক্ষার চারা সারি সারি।

একাকী নির্জনে বসে বসে ভাবি,
আজও কী ভাগ করে খাস অন্য কারো সাথে
আধখানা পাউরুটি?
আজও কি মেঘের কাছে তোর জলের ভিক্ষে চলে?


ছমিরন, তুই কি জানিস?
পাল্টে গেছে সময়, সময়ের করিডোর
এখন আর প্রেমিক বোনে না প্রেম,
গোলাপ নিয়ে দাঁড়ায় না রাস্তায়
এখন তো বাটনের চাপ,
দেহের উত্তাপ ছুঁড়ে দেয় খেলাপি প্রেমিক
এখন তো ফোনে, নেটে চলে ছুঁ কিত কিত,
তাইরে নাইরে না-


আহারে ছমিরন,
তালপাতা আর বুনোচালে উঠেছে দালান
লোকে লোকে ভেদাভেদ বেড়েছে প্রচুর
শান্তিটাই আগে ছিল বেশী
অর্থ বিত্ত গাড়ি বাড়ি মানুষকে করেছে অমানুষ।


ছমিরন,
তুই এলে অভাবের বৃষ্টি নামতো চোখের তারায়
ঝড় বয়ে যেতো মধুমতী তীরে
নোয়াবালি চাচা খেয়া বেয়ে নিতো এপার ওপার


এখন পাল্টে গেছে অনুভূতি, পাল্টে গেছে দিন
পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়, তবু মুঠোয় ভরা ঋণ।