আশ্বিনের এই চক চকে রৌদ্রভেজা সকালে
কবিতার প্লট কিনতে গিয়েছিলাম মধুমতী  তীরে
মধুমতী আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে
খা খা শূন্য  প্রান্তর পড়ে আছে কবিতাবিহীন
স্তন হতে দুধ চুষে নেয়ার মতো চুষে নিয়ে গেছে কবিতা প্রহর
নুয়ে পড়া কচুরিপানা যত্রতত্র ছড়ানো ছিটানো
কোথাও কোন গাঙচিল নেই, নেই হটটিটি পাখি
ছন্দহীন দুই একটি মাছরাঙা উড়ে যায় দক্ষিণে
কেবল নোয়াবালি চাচা চুপচাপ বসে থাকে নৌকায়, যদি ওঠে কোন সৌখিন প্রেমের মানুষ ..........


রাজনীতিহীন শূন্য পল্টন ময়দান, গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কিংবা প্রেসক্লাব  চত্তর।
রাজপথে হকার, ফেরিওয়ালাদের চিৎকার চেঁচামেচি;
হয়না সংসদ ভবনে ময়নুদ্দিন বাদলের প্রাণবন্ত আলোচনা ;
প্রকম্পিত  হয়ে ওঠেনা সমকালীন মঞ্চ নাটকে বেইলি রোডের মহিলা সমিতি মঞ্চ;
মিছিল মিটিংয়ে নয়জন পুরুষে মিলে আদিবাসী  মেয়েকে ধর্ষণের বিচার চায়না কেউ
এমসি কলেজ হয় অধুনা পুরুষের আনন্দ আশ্রম।


টাকার পাহাড় গড়ে তুলে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মন্ত্রী, এমপি, আমলা এমনকি ছোটলোক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী।  
বিমানের ফ্লাইটে উড়ে আসে টনকে টন সোনা
ফ্লাট বাড়ি জায়গা জমি কেনার মহড়া অহরহ।
এটাই তাহলে আমার কবিতার প্লট ??


গালে আঙুল দিয়ে কলম নয়, বাটনের অক্ষর ভোঁতা করে পাশে বসে আছে কবি
কখন তার কবিতার চালবাজি পূর্ণ হবে
নষ্ট সাংবাদিকের মতো
কখন টেণ্ডারের ভাগ, বাবা চালানের ভাগ পৌঁছে যাবে কবির কলমে, পকেটে
চাঁদাবাজির এ এক দুর্বিনীত  অভিসন্ধি
তুমি খাও আমি খাই
খাই খাই কবি রাজনীতি সমান সমান।
আর এইসব খাই খাই কবিগন বসে থাকেন বড় তকমা আর পদকের আশায়, দান অনুদান খয়রাতের আশায়, লোভের আড়ালে সাহিত্যসভায়।


চুপ করে থাকা পাপ
চুরি করে থাকা খাওয়া পাপ
মধুমতী তাই বুঝে গেছে, মাঝে মাঝে কবিতা যারে খায়  মারজুকের প্লেট শুদ্ধা খায়।
__________________________
১/১০/২০