আজ এতো বছর পরও ভেতরের মনে তৈরী করা নদীতীরে বসে তোমার কথাই ভাবছিলাম
কী এমন হয়েছিলো, যাতে করে মাড়িয়ে যেতে পারো আমার উঠোন?
মানুষ বোধ হয় এমনই আত্মকেন্দ্রিক,
এমনই স্বার্থপর
যজ্ঞের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে আবার নিজকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায় মানুষ
অথচ ত্রিকালের শেষে এসে এক মোহনায়
মিলে যায় সকল হৃদয়
মৃতপুরী, সেও হাতছানি দেয়। বলে, এসো তিনপাত্তি খেলি


কে না জানে? জীবনের কাছে, ভাবনার কাছে
পৃথিবীর সমস্ত শিহরণগুলি বুঝি মরমী ফুল হয়ে ওঠে
টুপটাপ ঝরেও পড়ে বিবর্ণ উঠোনে
মনে হয়,আজও আমি অবাক বিষ্ময়ে গাঁথি
দুঃখকে বরনের আদিগন্ত মালা
অথচ জীবন কাটে,
জীবনের অন্তহীন সুখ বিকেলের প্রতীক্ষায়।


তুমিই ছিলে আমার নদীতীরে প্রতীক্ষার সুখ বিকেল
হৈমন্তিক জাগরণে যাকে আমার নিকোনো উঠোন চিনিয়েছিলাম, সে কোন উদাসী বাঁশীর টানে
সেই তুমি অন্য উঠোনের চকচকে সোনা
আমি তবু হইনি নিরাশ
চেয়ে চেয়ে দেখি, ভোরের বাতাসে এখনো ভেসে আসে তুমুল অগ্রহায়ন।