প্রতিভা, তোমার ওই স্রোতস্বিনী নদীর বুকে বড় ভয়
ভরা বাঁকে ভাঙ্গনের শব্দ দিনরাত
কোন শব্দতরঙ্গ ভেঙ্গে আড়রাগে বাজাও মৃদঙ্গ স্বপনের? বারুদ মাখানো চোখে কেন এতো ডেকে আনো কান্নার ঢেউ?
চৈত্রের দাবদাহ?  তবুও বসন্ত খেলা করে অগুনতি কোকিলের গানে
শরতের সাদা মেঘে ভেসে চলে প্রেমিকার দূত।
*
জেনেই তো এসেছি এতোটাকাল
উছল নদীর তীরে স্রোতপাঁকে নতুন চরের আনাগোনা
পলির বুক চিরে উঠে আসে সবুজ শ্যামল গ্রাম
তবু এই ছায়াতীরে ভিড়ছে না প্রেমিক তরী!
*
তুমিতো জানোই প্রতিভা!
সঙ্গীহীন পাখিও অযাচিত আঁকেনা নদীর কলতান
ভেতরে জমাটবাঁধা আঁখিজল ব্যথার অভিধান!
তবু পাখি গায় নিঃসীম আকাশে করে বিচরণ-
*
ককিয়ে ওঠো কেন সামান্য ব্যথায়?
পাল তুলে দাড় বেয়ে চলো পাড়ি দেই, চলো যাই
দুঃসহ যন্ত্রনাকে জানাই বিদায়, শ্রমের আন্দোলনে গড়ি স্বপ্নের ঘর।
*****************************
টুঙ্গিপাড়া,