একদিন বঙ্গবন্ধুর সাথে স্বপ্নে কথা বললাম,
বহু কথার ফাঁকে তাঁকে বললাম,
"তোমার সাতই মার্চের ভাষণে আমার মন ভরেনি। যদিও ছোট্টকাল হতে শুনছি। শুনছি জলে স্থলে বাড়িতে গাড়িতে সড়কে ফুটপাতে তোমার বজ্রকন্ঠ ! তুমি কী বলে গেলে?
কেন আবার শুনতে মনে চায়?
সত্যিই কী তাহলে মন ভরেনি?
তৃষ্ণা মেটেনি?
তাই হয়ত বারবার শুনি, হাজারবার শুনি। "
উনি মুচকি হাসলেন।
আমি তাঁকে আরো বললাম,
" বঙ্গবন্ধু, আবার কোন একদিন তুমি এসে তোমার বজ্রকন্ঠে বলে যেও, যে কথায় মন ভরে যায়।
যে কথায় ক্ষুধার্ত বাঙালীও নিজের জীবন বিসর্জন দিতে পারে নির্দ্বিধায় "
এবারও উনি মুচকি হাসলেন।
বঙ্গবন্ধু, একটা দেশকে তুমি দুইবার ভাগ করলে। মনুষ্যত্বের যাঁতাকলে পড়ে আমরা যে ছোট্ট একটা ভাগ পেলাম!
পেলাম না বিরাট বড় ভূখণ্ড, শিক্ষাদীক্ষা, সম্পদ।
সত্যি বলতে কি, পেলাম না একটি শান্তিময় সুন্দর স্বপ্নঘেরা গানের মতো দেশ।
যেখানে থাকলেও দারিদ্র্যতা, ষড়যন্ত্র হত্যা কু, পাচারকারী থাকবে না
থাকবে না ধর্মান্ধতা মৌলবাদী তৎপরতা
হয়ত তখন তোমার ক্যারিশমার গুনে এক সূতোয় গেঁথে ফেলেছিলে আবালবৃদ্ধরমণী
একটি অহিংসার স্বদেশ পেতে পরস্পরে যেখানে ছিলনা হিংসা হানাহানি


আজ কেন শক্তির কাছে দুর্বল হয়ে পড়ে আইন, কানুন, শৃঙ্খলা?
কেন দেশ হতে পাচার হয়ে যায় অগুনতি টাকা?
আজ যে বাজারের আগুন তাপে ম্রিয়মান হয়ে পড়ছে তোমার ভাষণ?


বঙ্গবন্ধু,সত্যিই তোমার ভাষণে আমার মন ভরেনি
এই এতোকাল পরে এসে দেখি, আজও আমি ক্ষুধার্ত, আমার পেটও ভরেনি ।