আশ্বিনের এই মেঘ রোদের লুকোচুরি মাঝে মধুমতী পাড়ি দিয়ে এলাম বোনের বাড়ি
মনেও নেই কতকাল আসিনি এ গাঁয়ে--


সে ই ছোট্ট বেলায় বোন আমার নতুন বউটি সেজে মধুমতী পাড়ি দিয়ে এসেছিল এই গাঁয়ে,
শ্বশুরকুলে সব থাকলেও তারপর একে একে শ্বশুর শাশুড়ি ভাসুর দেওর স্বামীও চলে গেলো
ছেলেপুলে বড় হলো নাতি নাতনির বেশ সমাগম
কেবল মধুমতী কয়েকবারই ভাঙ্গলো গৃহস্থ, বশতবাড়ি কবরস্থান ধানীজমি সকল আবেগ।


সময় গেলেও ভোলে না নদীর পারের মানুষ
চোখে তার বারমাসি জল, তবু তার স্বপ্নের বেঁচে থাকা
কুহকের অন্ধকার কেটে যদি আসে আলোর ঝলকানি, যদি আসে ভরা ফসলের ডাক
ভুলে যাবে হারানোর শোকগাথা।


এমনি করে আশা আর স্মৃতি নিয়ে
আমরাও পার হই জীবনের সবশেষ নদী।