কাল সারাদিন লক্ষ করলাম আমার দু'টি পরিচিত পাখি দিনভর বাসা বানালো, একে অপরকে অনেকক্ষণ ধরে সোহাগ, সঙ্গম করলো, আমার দেয়া খাবার ও খেলো।
দু'টি পাখিই তাদের স্বরে আনন্দের গান করলো কিন্তু সন্ধ্যায় তারা একে অপরের কাছে গেলো না
তাদের শ্রমে তৈরী করা বাসায়ও তারা থাকলো না।
বেশ খোঁজাখুঁজি করে দেখলাম, তারা কাছের পেয়ারা গাছের দু'টি মগডালে দু'জন ভিন্ন ভিন্ন বসে আছে।

রাতের শত্রুর ভয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন থাকলো......


আজ সকাল হতে তারা যথারীতি ব্যস্ত সমস্ত হয়ে আছে।
কিছুদিন আগে বন বিড়াল হানা দিয়েছিল আমার ঘরের পাশে কবুতরের জন্য তৈরী করা ঘরে
এখনো আশেপাশে থাকা পাখিগুলি সেই ভয়ে
বাসা ছেড়ে ঘর ছেড়ে রাত কাটায় মগডালে ঝড়বৃষ্টি রাতের অন্ধকার উপেক্ষা করে।


পাখির বেঁচে থাকবার চেষ্টার মত একজন কবিও কবিতা বাঁচানোর জন্য রাত জাগে
আগলে রাখে বুকের ওমে, কখন পৌঁছবে তার অনবদ্য কবিতা সত্যিকারের পাঠকের কাছে।
কবিও স্বপ্ন দ্যাখে পাখির মত আগামীকাল তার সোহাগের পূ্র্ণরূপ আর সঙ্গমেরও স্বাদ পেতে।
=======================
টুঙ্গিপাড়া,