যে যুবকটি স্টেনগান হাতে জীবন বাজি রেখে সেদিন যুদ্ধে গেলো
শত্রু নিধন করেও এলো ফিরে মায়ের কোলে
বয়সের কিছু আগেই জ্বরা এসে
কাবু করলো তাকে
আজ তার নিথর দেহ অনন্ত যাত্রার খাট হতে নামালাম ধীর পদভারে
গান স্যালুট জানালো জওয়ান, স্বজনের কান্নায় ভারী হলো আকাশ, বিদীর্ণ করে গেলো
ঘুরে বেড়ানো বার্ধক্য জ্বরাগ্রস্থ তার কতকগুলো সহযাত্রীর বুক
মায়ের কাছেই হলো ফেরা
ওই যে দেয়াল ঘেরা শেষের আশ্রয়বাড়ি
ওখানেই তার অনন্তঘুম।


এইতো আমাদের পরম্পরাঃ


আমি বীর আমি দরদী দেশের, একসময় আমার প্রয়োজন ছিল খুব
আজ আমি বাঁশবাগানটার পাশে চিরস্থান হয়ে অপ্রয়োজনীয় রয়েছি একেবারে নিশ্চুপ।


এ পৃথিবীর বুকের ওপর যার যার অবস্থান
এককালে একসময়
হবে মৃয়মান হবে মৃয়মান হয়ে যাবে মৃয়মান।


কবিতা জানিনা
কেবল দুঃখকে ভাগাভাগি করি
শোকের পোষাকে পার হই শহীদ মিনার
চেয়ে দেখি আবুল হাসান রুদ্র শহীদ ফুল দিয়ে হেঁটে চলে বাংলা ভাষায়
ভরাট গলায় গান গায় আবদুল জব্বার, সালাম সালাম হাজার সালাম


জানিনা কবিতা
নয়ীম গহর লেখে "জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
বলে দেয় মহাকবি, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
আমি শ্রোতা হই, মুগ্ধ হই, পাঠ করি এখনো নজরুল, রবি ঠাকুর কিম্বা হোমার
পাঠ করি প্রান্তরে বুনে দেয়া রোদের ফসল
তবু আমি কবিতা জানিনা
পলাশীর মোড় ধরে দুরন্ত ছুটি
স্লোগান আমার বুকে বাজে তরঙ্গের মতো।
★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★★
টুঙ্গিপাড়া, ২০/২/২০