কাঁদতে চাই না তবু উপচে আসে কান্নার জল
ভাবতে চাই না অথচ ভাবনারা ডানা মেলে
গায়ে গতরে খেটে দুমুঠো অন্ন জোগাড়টাই
চাইলাম সারাটাজীবন
দেখতেও চাইলাম নিভৃতির উচ্চারণে সুষম বণ্টন।


হায়রে নিভৃতি!
এইতো চারদিক হরিৎপত্রে পড়ছে খাদকের প্রবঞ্চনা আর সুতীব্র নখর
কুৎসিত সভ্যতার পাদদেশ খুড়ছে পাপাত্মা
জঘন্য জিহ্বায় টানে দ্বেষের অঘ্রাণ
কি দেখছি ? কালের কুশীলব লুটছে বিবেক!
তবু ধ্বজা ধরে দাঁড়াতে চায় কনফুসিয়াসের কথিত সুশীল, অথর্ব, অলীক.....


এখন আর অবাক হই না কিছুতেই
যুগল নয়নে বুকের ভিসুভিয়াস জ্বেলে রাখি
আগলে থাকি পূর্বপুরুষের দীক্ষার বাস্তুভিটা
বিবস বেদনায় বলি, কেউ কি কখনো চেয়েছিলো
এ নরম কাদামাটি জলে ঠিকানা হোক আমার ?
কেউ কি একবার ভালোবেসেছিলো ?
বলেছিলো, এ বুকের ফসলে সুখ কুড়াবার আমারই একমাত্র অধিকার ?
তার আগে পুড়ে পুড়ে ক্ষত এই জীর্ণ দেহে
আসুক ফিরে প্রাণ, প্রাণের আহার
এ চাওয়া, এ পাওয়া কি ভুল ঠিকানার ??