নিতান্ত বেঁচে থাকা, সুখ বলি কীভাবে ?
এই ভাবে বেঁচে থাকা যায় ??
যেই ভাবে এই মরা কার্তিকের ঝড় আর বৃষ্টির দিনে
পাখিরাও প্রতিকূলতায়, যেই ভাবে ক্ষেতে ক্ষেতে নুয়ে পড়া ধান ক্রমাগত যুদ্ধ করে, উঠতে শোষকের নতুন গোলায়।
কী করে বাঁচবে কৃষক?
যার শ্রমে বাঁচে দেশ আহার নিদ্রায়


পাড়ার মোড়ের জটলায় মুগ্ধ চাঁদের কোনো গল্প যে নেই, লুটেরার গল্পটা কানে বাজে খুব।
একটাই জীবন, এ জীবনে কত লাগে?
কতটা জমানো যায়? কতটা নির্লজ্জ হয়ে লুটে নেওয়া যায়, গল্প সে সব।


লোভাতুর ওরা শুষে নেয় কৃষকের শ্রম আর স্বপ্নের সুখ বিপরীতে লোকদেখা ভালোবাসায় কেবলই দেশটার বাড়ায় অসুখ


নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম আজ
ক্ষুধার্ত পৃথিবী ঠিক যেন,হা করে খেয়ে ফেলে কুকুরের প্রকাশ্য সঙ্গম।


যেই ভাবে বাড়ছে ক্ষুধা! ছিঁড়ে খায় লজ্জার ঘাস
এই ভাবে বেঁচে থাকা যায় ??
বুকে বাড়ে অভাবের নীরব বিপ্লব,
শোষক নির্ভার। ফাঁকা মাঠ, প্রৌঢ় পৃথিবী তার!


তারপরও- তারপরও কৃষকের চাহনি অপার
হয়তো বা এই কার্তিকেই রোপিত হবে স্বপ্ন শৈশব
বৈশাখে তুমুল শাড়ি খুঁজে নেবে একমুঠো সুখ।*****************************
টুঙ্গিপাড়া,