ঘনীভূত সম্পর্কেও ফাটল ধরে
আবার কাক কোকিলও একীভূত হয় কখনো কখনো
আমার কোন যোগ্যতা ছিল না তোমার সঙ্গে মেশার
ছিল না এমন কোন প্রকরণ
বারোয়ারি রাস্তায় আমি এক ভিখিরি ছিলাম মাত্র
তা নয় তো কি? শব্দের ভিখিরি, অথবা অক্ষরের;
এমন কি কবিতার ভিখিরি।
শব্দকে চাষ করে একটি কবিতার ফলন ফলাতে আমাকে যেমন করে ঘাম ঝরাতে হয়েছে, কুহেলি আঁধারে দিগন্তের ওপারে তাকাতে তাকাতে আমাকে
সর্বস্বও হারাতে হয়েছে।
সেই আমার মতো এক সর্বস্ব খোয়ানো ভিখিরিকে তুমি কথার জালে আটকালে__


কী এমন মোহতা ছিলো আমার ভেতর?
আদিগন্ত ফসলের হাতছানি নেই,নেই পাখির মিলন গান
সন্ধ্যার আলোক জ্যোৎস্নার, নেই আগের মতো ভালোবাসবার মোহন অধিকার, নেই আকাশ পাগল করা সুর তাল ভরাট কণ্ঠস্বর।
তারপরও বাড়িয়ে দিলে হাত, জানালে সম্ভাষণ।
প্রকৃতির পথ ধরে দু'জনায় হেঁটে হেঁটে পার হই
জীবনের নদী।


কী এমন, যা কিনা বিষাদের হিম ঘরে লুকিয়ে রেখেছিল যত্নের সাথে ? যা কিনা হৃদয়ের মাঝখান দিয়ে এফোঁড় ওফোঁড় করে গেলে সংগোপনে?
কী এমন যাদুর বাঁশি, বাজিয়ে গেলে নিপুণ সুরে সন্ধ্যার চোখ রাঙানো আলোক নগরে?
যার জন্যে পাড়ি দেয়া স্বপ্নের নদীও মুছে দিলে অন্তর হতে?


জানিনা,
তবে গৌরবর্ণ বার্ধক্যের চেহারা বুঝি না আমি
বুঝে যাই ভাটার প্রবল টান
বুঝে যাই অনাঘ্রাত আমার চারপাশ ছেঁড়ে দূরে সরে যাচ্ছে পিঁপড়েদের সারি।
আপনার একান্ত জন; সেও চলে গেলে, ভাববো এটাই,অন্তত দুশ্চিন্তার কিছু নাই!