জঙ্গলের প্রান্তসীমায়
হরিণ শাবকের পিছু ধায় একদল হায়েনা
অপ্রস্তুত শিশুটিরে ছিড়ে খুঁড়ে খুবলে খায়
ধান সিড়ি চেয়ে চেয়ে দেখে।


মুখ চেপে অবনত শিরে
জেগে ঘুমায় শায়েস্তা খাঁর কামান,
লাল সবুজ পতাকারে নিয়ে খেলে
দুর্যোধনের ক্রূর কৌশল
শকুনি মামারা প্রকট হরিণের চারিধারে।


সাবধান সাবধান শরৎ শিশির
বালুচরে খেলিবার দিন হয়তো
কবে দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে,
সোনালী ডানার চিল
যে আসিতে চেয়েছিল হাজার বছর পরে
সে কি তবে আর আসিবেনা এই চরাচরে?


চড়ুই পাখিরা হয়তো সেদিন
কেঁদে কেঁদে শেষ হয়ে যাবে
ধান শালিকের বেশে হুতুম পেঁচা
হয়তো উড়িবে মাথার উপরে।


আকাশে ডমরু বাজে দ্রিম দ্রিম তালে
মুক্ত বলাকার ওড়া উড়ি থমকে গেছে
আশ্বিনের ঘন আকাশ ছেয়ে গেছে কালো মেঘে
এখুনি নামবে তুফান
বৃষ্টি ঝরাবে ইশান কোনে জমে থাকা ক্ষোভ
ইতিহাসের ধারাপাত বেয়ে নামবে কালো সময়।


হয়তো একদিন প্রাতে
দেখিব ফুলের ডালা হাতে
সন্মুখে করুণ চোখে
দাড়িয়ে আছে মেঘ বালিকা।


অতপর শূচি হবে ধরা অগ্নি স্নানে
প্রশান্তির প্রলেপ মেখে সেই ক্ষণে হয়তো
আবারো জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উঠবে
মেহেরপুরের আমবাগান।